পাথারকান্দি (অসম), ২১ নভেম্বর (হি.স.) : মাঝে কয়দিন বন্ধ ছিল। কিন্তু বিশেষ সিন্ডিকেটের হাত ধরে উজান (মিজোরাম) এলাকা থেকে লঙ্গাই নদীপথে আবারও অবৈধভাবে করিমগঞ্জ সদর সহ অন্যাত্র লক্ষ লক্ষ টাকার বাঁশ পাচারের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বাঁশের পাচারবাণিজ্যের সাথে রাজ্য তথা জেলা বন বিভাগের একাংশ কর্মী ও শাসকদলের কতিপয় নেতা জড়িত বলেও বিভিন্ন মহলের অভিযোগ।
প্রায় প্রতি সপ্তাহে পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকাধীন লোয়াইরপোয়া ব্লকের রাঙামাটি সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে সংগৃহীত এ সব বাঁশ পাচার সম্পর্কে স্থানীয় বন আধিকরিক কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ, প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ হাজার বনজ বাঁশ লঙ্গাই নদীপথে পাথারকান্দি হয়ে করিমগঞ্জে পৌঁছে। একটি বিশেষ চক্র সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার নদীর ধারে বসে পাচারকৃত বাঁশ থেকে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে তোলা আদায় করেন বলেও অভিযোগ। এর ভাগ বন বিভাগের একাংশ কর্মীদের কাছেও যায়।
এদিকে জঙ্গল থেকে নির্বিচারে বাঁশ সহ মূল্য বান গাছ সংগ্রহের ফলে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ক্রমশ নিজস্ব রূপ হারিয়ে খোলা ময়দানে পরিণত হওয়ার পথে। অনেকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বনাঞ্চলের ভিতরে গড়ে তুলেছেন ব্যক্তিগত রকমারি বাগান ও মাছ চাষের বড় বড় ফিশারি। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সম্প্রতি নদীপথে বাঁশ পাচারের ঘটনাটি এলাকার পরিবেশপ্রেমী জনগণ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্তাদের নজরে এসেছে।
তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে করিমগঞ্জের ডিএফও বি বসন্তনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় তাঁরা স্বউদ্যোগে এ ধরনের অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগের আবর্তে ঘেরা লোয়াইরপোয়া রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার গৌতম টিমুংকে জিজ্ঞাসা করলে এ সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞ বলে দাবি করেছেন। তবে এবার থেকে তিনি অবৈধভাবে নদীপথে বাঁশ পাচার সংক্রান্ত ব্যাসপারটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।