দক্ষিণ দিনাজপুর, ১৯ নভেম্বর (হি. স.) : পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবক হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে মারা গেলেন। শনিবার তাঁর স্বজনরা এ কারণে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান।
মৃতের নাম প্রসেনজিৎ বসাক। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের ওই যুবককে শুক্রবার তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রেফার করা হয়েছিল ওই যুবককে। কিন্তু সময় মতো অ্যাম্বুলেন্স আসে না। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা করতে করতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বছর কুড়ির ওই যুবকের।
মৃত ওই যুবকের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙিনা বড়ইট এলাকায়। পেশায় সোনার কারিগর। যুবকের মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতি ও বেহাল অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নিয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ।
শুক্রবার সন্ধেয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভুতকুড়ি এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন প্রসেনজিৎ৷ বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখান থেকে কলকাতায় যেতে বলেন চিকিৎসকরা।
এদিকে কলকাতায় পাঠানোর কথা বলা হলেও কোনও অ্যাম্বুলেন্স আসেনি বলে অভিযোগ পরিবারের৷ একাধিকবার ফোন করা হলেও মেলেনি অ্যাম্বুলেন্স। অপেক্ষা করতে করতে রাত ২ টো ২০ মিনিটে হাসপাতালেই মারা যায় ওই যুবক। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার ক্ষেত্রে ঢিলেমি করা হয়েছে। যিনি দায়িত্বে ছিলেন, তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ। এমনকী তিনি কথা বলার মত অবস্থাতেও ছিলেন না বলে দাবি মৃতের পরিবারের। শনিবার দুপুরে বালুরঘাটে হাসপাতাল সুপারের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানান পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন,”বিষয়টি মৌখিক ভাবে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাননি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

