ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ নভেম্বর।। প্রত্যাশিতভাবেই অমিমাংশিতভাবে শেষ হলো ত্রিপুরা- বাংলা ম্যাচ। তবে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে মোক্ষম ৩ পয়েন্ট পেলো ত্রিপুরা। অনূর্ধ্ব-১৯ কোচ বিহার ট্রফি ক্রিকেটে। কল্যাণীর ব্যাঙ্গল ক্রিকেট আকাদেমি মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরার ৩২২ রানের জবাবে স্বাগতিক বাংলা প্রথম ইনিংসে ৩২০ রান করেছিলো। ২ রানে এগিয়ে থেকে মঙ্গলবার শেষ দিনে ত্রিপুরা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে। উইকেটে টিকে থাকার মানসিকতা দেকাতে পারলে অসম্ভব কাজকেও সম্ভব করা যায় তা এদিন দেখালেন ত্রিপুরা দলের অধিনায়ক আনন্দ ভৌমিক এবং অলরাউন্ডার রাজদ্বীপ দত্ত। দুজন ২৫৩ বল খেলে যোগ করেন ৪২ রান। রান থেকে উইকেটে টিকে থাকার উপরই জোর দেন ওই দুই প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আর এতেই ত্রিপুরার ঝুলিতে আসে ৩ পয়েন্ট। তৃতীয় দিনের বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন দলীয় আরও ৩৩ রান যোগ করার পর দ্বীপজয় দেবকে (১৮) হারায় ত্রিপুরা। একসময় ৭১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভালো জায়গায় ছিলো রাজ্যদল। এরপরই ধস। দলীয় ৭৫ রানের মধ্যে ত্রিপুরা হারায় প্রীতম দাস (২৫), নবারূন চক্রবর্তী (১২), সপ্তজিৎ দাস (২) এবং দুর্লব রায়কে (০)। চাপের মুখে ২২ গজে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করে আনন্দ এবং রাজদ্বীপ। ঠান্ডা মাথায় দুজন উইকেটে টিকে থাকার উপর জোর দেন। বিপক্ষ দলের অধিনায়ক তঁার বোলারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল করিয়ে উইকেট ভাংতে ব্যর্থ হয়। ওই জুটি ২৫৩ বল খেলে ৪২ রান যোগ করে। রাজদ্বীপ ১২৭ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ রান করেন। রাজদ্বীপ যখন আউট হয় তখনই ম্যাচ বাংলার হাত থেকে বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৭৫.৪ ওভারে ত্রিপুরা ১৩২ রান করার পর দুদলের অধিনায়ক ম্যাচটি অমিমাংশিতভাবে শেষ করে দেন। আনন্দ ১৪১ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ রানে এবং দেবরাজ দে ১৪ বল খেলে ৪ রানে অপরাজিত থেকে যান। বাংলার পক্ষে শায়ন দে (৩/১৪) সফল বোলার। ১৯ নভেম্বর থেকে ত্রিপুরা নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে মিজোরামের বিরুদ্ধে। গকুলভাই সোমাভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি। বাংলার বিরুদ্ধে লিড নিয়ে পয়েন্ট পাওয়ায় ত্রিপুরা দলের প্রতিটি ক্রিকেটারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার কর্তারা।
2022-11-15

