রামাগুন্ডম/নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর (হি.স.) : সিঙ্গারেনি কোলিয়ারি কোম্পানি লিমিটেড (এসসিসিএল) বেসরকারীকরণের কোনও প্রস্তাব কেন্দ্রের নেই। এ বিষয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী ৬,৩৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তেলঙ্গানার রামাগুন্ডামে ফার্টিলাইজারস অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেড (আরএফসিএল) সার প্ল্যান্টটি জাতির কাছে উত্সর্গ করেন এবং ৯,৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পও উত্সর্গ করেন। এই উপলক্ষে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-কে গুজব ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, “কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে জনগণকে উত্তেজিত করতে গুজব ছড়ায়। তেলেঙ্গানার এসসিসিএল এবং বিভিন্ন কয়লা খনি সম্পর্কে এই ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে এবং হায়দরাবাদ থেকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা গুজব ছড়াচ্ছে তারা জানে না যে মিথ্যা ধরা পড়বে।”
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মোদী বলেন, তেলেঙ্গানা সরকারের এসসিসিএল-এ ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কেন্দ্রের আছে মাত্র ৪৯ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে, এটা স্পষ্ট যে কেন্দ্র এসসিসিএল-এর বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তিনি বলেন, কয়লাখনির নিলাম সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হচ্ছে। যেখান থেকে খনিজ আহরণ করা হয় সেখান থেকে স্থানীয় জনগণের উপকার করার জন্য আমরা ডিএমএফ তৈরি করেছি।
উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য তেলেঙ্গানার জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজ তেলেঙ্গানার উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। এটি শিল্পের পাশাপাশি কৃষির বিকাশে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, সার প্লান্ট, নতুন রেললাইন ও মহাসড়ক শিল্পায়নকে বেগবান করবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
করোনার পরেও ভারতের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মহামারীর পরে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে গেলেও সমস্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে মোদী বলেন, গত তিন দশকে যে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে তা আগামী কয়েক বছরে অর্জিত হতে চলেছে। তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞদের আস্থা গত আট বছরে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনের কারণে। জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি চিন্তাভাবনার কারণেই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।”