মোরবি, ৩১ অক্টোবর (হি.স.): গুজরাটের মোরবি জেলায় মাচ্চু নদীর ওপর এক শতাব্দীরও বেশি পুরানো ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার সন্ধ্যার মর্মান্তিক ওই বিপর্যয়ের ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩৪। চারিদিকে এখন শুধুই আর্তনাদ ও কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে, বিপর্যয়ে আহত হয়েছন বহু মানুষ। এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি কয়জনের। রবিবার রাত থেকেই মাচ্চু নদীতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকল। আহতদের চিকিৎসা চলছে মোরবি সিভিল হাসপাতালে।
গুজরাট তথ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাচ্চু নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, ১৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল একসঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। সোমবার ভোররাত তিনটে নাগাদ এসে পৌঁছয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই সময় থেকে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তল্লাশি অভিযানের জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মাচ্চু নদীর উপর ওই ঝুলন্ত সেতুটি আচমকাই ভেঙে পড়ে। একসঙ্গে অন্তত ৫০০ জন ওই সেতুতে উঠে পড়ার জেরে এই বিপর্যয় ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদের মধ্যে শিশু, মহিলাও রয়েছেন। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় অনেকগুলি অ্যাম্বুল্যান্সকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সেতুর উপরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই পর্যটক। সূত্রের খবর, রক্ষণাবেক্ষণের পর পাঁচ দিন আগেই নতুন করে চালু করা হয়েছিল সেতুটিকে। ছ’দিনের মাথাতেই ঘটে গেল বিপর্যয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার গুজরাটের মোরবিতে যাচ্ছেন, যেখানে সেতু ভেঙে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ঘোষণা করেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বিকেলে মোরবি আসবেন। গান্ধীনগর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে মোরবিতে উদ্ধার অভিযান পুরোদমে চলছে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, ভারতীয় বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর দলগুলি স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে।