কলকাতা, ২২ অক্টোবর (হি.স.): প্রাথমিক টেট দুর্নীতি প্রতিবাদে দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পথ অবরোধ করল বিজেপি। শনিবার দুপুরে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরাতে গেলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ ছিল।
টেট উত্তীর্ন চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে করুণাময়ীতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ভঙ্গ করে আন্দোলনকারীদের আটক করা হয়। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে শনিবার পথে নামল বিজেপি। এদিন বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলী জেলার পক্ষ থেকে কলকাতা এয়ারপোর্ট ১ নম্বর ভিআইপি ও যশোর রোডের মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। প্রচুর বিজেপি কর্মী দমদম যশোর রোড-এয়ারপোর্ট-এইচএমভি মোড়ে জমায়েত করে। এইচএমভি থেকেই মিছিল করে এয়ারপোর্ট যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতই কর্মসূচী শুরু হতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। এয়ারপোর্টে পৌঁছাতেই পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন অধিকাংশ। পরিস্থিতি ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। কয়েকজন বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটে বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। এর পর মোড়ে পথ অবরোধে বসে পড়েন তাঁরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের তোলার জন্য তৎপরতা শুরু করেন আধিকারিকরা। কিন্তু রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর একে একে বিজেপি নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট ১ নম্বর মোড়ে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে নিয়োগের নামে চাকরি চুরি হয়েছে। ওদিকে প্রাপ্য চাকরির দাবিতে যারা করুণাময়ীতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাদের বর্বরভাবে তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার ও তার দলদাস পুলিশ। অপদার্থ এই সরকারের অবিলম্বে অপসারণ দরকার বলে দাবি জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, টেট চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে শনিবার থেকে সমস্ত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে বিজপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদ করেছি৷ আমাদের অনেক নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন৷ আমরা অমানবিক নই, তাই শনিবার থেকে সমস্ত বিজয়া সম্মিলনী বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা৷ এর পরিবর্তে প্রতিবাদ সভা ও কর্মিসভার আয়োজন করব৷’