কলকাতা, ২১ অক্টোবর (হি.স.): বর্ষা বিদায় নিতেই তিলোত্তমার বাতাসে শিরেশিরে ভাব। ভোরের দিকে নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রা। পাখাও কমাতে হচ্ছে। শীতকাল কি তবে এসেই গেল! শীতপ্রেমী মানুষের মনে এই প্রশ্ন জেগে উঠলেও, আবহবিদরা বলছেন, এত তাড়ার কিছু নেই। শীতের এখনও অনেক বাকি রয়েছে। দুঃশ্চিন্তার বিষয় হল, আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ইতিমধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপটি ২২ অক্টোবর, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তী সময়ে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার ফলে কালীপুজোর উৎসাহ ও আনন্দ মাটি হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কোন দিকে থাকবে অথবা কোথায় আছড়ে পড়বে, সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে শনিবার যখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে, তখন তার অবস্থান থাকবে মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এর পরের ৪৮ ঘণ্টায় আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ যখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে, তখন সেটির অবস্থান থাকবে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে। ২৪ অক্টোবর, সোমবারই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ওই দিনই কালীপুজো। ফলে আলোর উৎসবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটায় আঁধার নামতে পারে।
যাইহোক, শুক্রবার সকালে তিলোত্তমার বাতাসে ছিল হিমেল ভাব। আকাশ ছিল পরিষ্কার, ঠিক যেমন আবহাওয়া থাকে শীতের শুরুর দিকে। তাহলে কি সত্যিই শীত আসছে বঙ্গে, এই প্রশ্নের উত্তর এত তাড়াতাড়ি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।