নকশালবাড়ি, ১৬ অক্টোবর (হি.স.) : শিলিগুডি়র ইন্দো-নেপাল সীমান্ত তারাবাড়ি এলাকায় দিনদুপুরে লোকালয়ে হানা দিল হাতির পাল। রবিবার হাতির এই পালে রয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টি হাতি। এদিন সকালে পানিঘাটা রেঞ্জের কলাবাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মেচি নদী পেরিয়ে তারাবাড়ি এলাকায় চলে আসে। এখনও পর্যন্ত হাতির পালটি মেচি নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা সন্ধ্যা নামলেই খাবারের লোভে ঢুকতে পারে হাতির পাল। হাতি গুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে বনকর্মীরা।
ইন্দো-নেপাল সীমান্ত পানিঘাটা রেঞ্জের কলাবারি জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন ধরেই আশ্রয় নিয়েছে ৮০ থেকে ৯০টি হাতি। এই হাতিগুলি খাবারের লোভে মেচি নদী পেড়িয়ে চলে যেত নেপালের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে। নেপাল সীমান্তে বিদ্যুতের ফেন্সিং করে দেওয়ায় এখন আর সেখানে যেতে পারছে না হাতির পাল। ফলে সন্ধ্যা নামলেই হানা দিচ্ছে সীমান্তবর্তী ভারতের গ্রামগুলিতে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মাঝে মধ্যেই কলাবাড়ি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির পাল ঢুকে যাচ্ছে নকশালবাড়ি ব্লকের তারাবাড়ি, কেটুগাবুর, রকমজোত এলাকায়। গ্রামে ঢুকেই তছনছ করছে জমির ফসল। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে হাতির উপদ্রবে। বারংবার অভিযোগ করলেও বনদপ্তর হাতির উপদ্রব রুখতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামে ঢুকলে হাতি তাড়াতে ফোন করেও বনকর্মীদের পাওয়া যায় না বলে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা।