হাফলং (অসম), ১৩ অক্টোবর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলায় কনকলতা মহিলা সবলীকরণ যোজনার অধীনে আজ বৃহস্পতিবার ১২০ জন ‘জীবিকাসখি’কে স্কুটি বিতরণ করা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা রাজ্যের বিভিন্ন আত্মসহায়ক গোষ্ঠী, যারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মহিলা সবলীকরণের লক্ষ্যে কাজ করে থাকেন, ওই সব মহিলাদের জন্য কনকলতা মহিলা সবলীকরণ যোজনার শুভারম্ভ করেছিলেন।
ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই যোজনার অধীনে জীবিকাসখিদের মধ্যে স্কুটি বিতরণ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তবে ডিমা হাসাও জেলা গত মে ও জুন মাসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ায় জেলার সড়কপথগুলি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই স্কুটিগুলি নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ডিমা হাসাও জেলায় এই অনুষ্ঠান আয়োজনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে, জানিয়েছেন জেলা গ্রামোন্নয়ন বিভাগের প্রকল্প সঞ্চালক মেঘঞ্জয় থাওসেন।
এদিকে আজ আসাম স্টেট রুরাল লাইভলিহুডস মিশন এবং পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের উদ্যোগে হাফলং জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিমা হাসাও জেলার পাঁচটি ব্লকের অধীনস্থ আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর ১২০ জন জীবিকাসখির হাতে সখি এক্সপ্রেস স্কুটির চাবি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্ৰধান অতিথি উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধ্যক্ষ রাণু লাংথাসা, পার্বত্য পরিষদের অধীনস্থ জেলা গ্রামোন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী সদস্য গলঞ্জ থাওসেন, লোকনির্মাণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী সদস্য রতন জারামবুসা, পার্বত্য পরিষদের প্রধানসচিব টিটি দাওলাগাপু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্ৰধান অতিথি রাণু লাংথাসা বলেন, আজকের সমাজে মহিলারা শুধু ঘর দেখভালই করেন না, ঘরের বাইরেও মহিলারা যথেষ্ট শক্তিশালী। তিনি বলেন, বাইরে সব ধরনের কাজে এখন মহিলারা পারদর্শী। চাকরি থেকে শুরু রাজনীতিতে মহিলারা সমান ভাবে কাজ করে চলছেন। তাই আজ যে সকল জীবিকাসখিকে স্কুটি প্রদান করা হয়েছে তাঁদের দেখে কাজের প্রতি মহিলারা আরও আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন রাণু লাংথাসা। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই মহিলারা আজকের যুগে অনেক এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

