আগরতলা, ১২ অক্টোবর (হি. স.) : রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অনুষ্ঠান বয়কট করেছে সিপিএম। তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানানো সত্বেও ত্রিপুরায় আইনের শাসন ভুলুণ্ঠিত অভিযোগ এনে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। এ-বিষয়ে বিজেপির কটাক্ষ, বীরচন্দ্র মনুতে সিপিএমের দলীয় কর্মসূচী রয়েছে। সেই কর্মসূচীকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে দেশের রাষ্ট্রপতিকে অশ্রদ্ধা করা হয়েছে।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ত্রিপুরা সফর উপলক্ষে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আজ নাগরিক সম্বর্ধনা সহ আরো একটি সরকারী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠান দু’টিতে উপস্থিত থাকার জন্য সি পি আই (এম) এর রাজ্য সম্পাদক সহ বিধায়ক এবং প্রাক্তন সাংসদদেরও আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। সি পি আই (এম) ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমন্ডলী রাষ্ট্রপতির সফরকে স্বাগত জানালেও এই অনুষ্ঠান দু’টিতে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় গত সাড়ে চার বছর ধরে কোন প্রকার আইনের শাসন নেই। প্রতিনিয়ত ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকারের উপর লাগামহীন আঘাত হানা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিহত পার্টি-কর্মীদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেবার অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে ।
সি পি আই (এম) আশা প্রকাশ করছে, রাষ্ট্রপতি ত্রিপুরায় গত সাড়ে চার বছর ধরে চলা দমবদ্ধকর পরিস্থিতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যাবেন এবং তাঁর অবস্থান থেকে নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন, বলেন তিনি।এ-বিষয়ে বিজেপির কটাক্ষ, রাজনৈতিক দেওলিয়াপনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সিপিএম। দলমত নির্বিশেষে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা এবং স্বাগত জানানো সকলের দায়িত্ব এবং কর্তব্য। তার বদলে সিপিএম রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিপিএমের এই সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রপতিকে চরম অপমান ও অশ্রদ্ধা করা হয়েছে, উষ্মা প্রকাশ করে বলেছে বিজেপি। দলের দাবি, বীরচন্দ্র মনুতে সিপিএমের দলীয় কর্মসূচী রয়েছে। সেই কর্মসূচীকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্যই তাঁরা রাষ্ট্রপতিকে অপমান জানাতেও বিন্দুমাত্র চিন্তা করেননি।