নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ অক্টোবর৷৷ মধুপুর কোনাবন নেশা মুক্তি কেন্দ্রে নেশা মুক্ত করার নামে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে৷ মধুপুর কোনাবন হামকড়ুই নাইকেল বদল নামে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে মেরে ফেলার অভিযোগ করলেন বিশ্রামগঞ্জ ননজলা এলাকায় গফুর মিয়া ও তার পরিবার৷ ঘটনার বিবরণ জানা যায়, বিশ্রামগঞ্জ ননজলা এলাকার গফুর মিয়ার ছেলে ইসমাইল মিয়া প্রতিনিয়ত নেশা সেবন করে যাচ্ছে৷ এ নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে গফুর মিয়া ছেলেকে মধুপুর কোনাবন নেশা মুক্তি কেন্দ্র ২৫ সেপ্ঢেম্বর দিয়ে আসেন৷ চুক্তি হলো প্রত্যেক মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে প্রদান করবেন৷ হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের কাছে ফোন আসে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ইসমাইল মিয়া বাথরুমে পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে৷ পরিবারের লোক যেন এসে তাকে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখায়৷ সে মোতাবেক পরিবারের লোকজন গিয়ে দেখতে পায় ইসমাইল মিয়া মৃত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে৷ পরিবারের লোক জিজ্ঞেস করলে তারা বলে সে নেশা করতে না পারায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে৷ পরিবারের লোকজন রাতে কোন কিছু বুঝতে না পেরে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দেখতে পায় ইসমাইল মিঞার গোপনাঙ্গে আঘাত রয়েছে এবং তার একটি পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে৷ পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী মিলিতভাবে ইসমাইল মিয়ার মৃতদেহ নিয়ে সোজা চলে আসে পুনরায় নেশা মুক্তি কেন্দ্রে৷ পাশাপাশি মধুপুর থানায় উক্ত বিষয়টি অবগত করেন৷ পরবর্তী সময়ে মধুপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ইসমাইল মিয়ার মৃতদেহ মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে রাত তিনটায়৷ নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইসমাইল মিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়৷ তাদের অভিযোগ নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ইসমাইল মিয়ার ওপর বেধড়ক মারধর করা হয়, যার ফলে মৃত্যু হয় ইসমাইল মিয়ার৷ বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ময়নাতদন্ত করার পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিষয়টি নিয়ে যেন প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে৷
2022-10-06