মালদা, ৬ অক্টোবর (হি. স.) : বৃহস্পতিবার সাতসকালে মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হল পাটের গোলা। তাতে মাথায় হাত মালদার এক পাট ব্যবসায়ীর। বিধ্বংসী আগুনে প্রায় ৩০০ কুইন্টাল পাট পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে কমপক্ষে ১৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোলার উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডের জন্য আপাতত ওই তারকেই দুষছেন সকলে।
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বনসরিয়া মোড়ের একটি পাটের গোলায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গোলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের মালিক। তাঁর চিৎকার, চেঁচামেচিতেই ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু কেউ কিছু ভেবে ওঠার আগেই দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে গোলায় ঠেসে রাখা পাট।
গোলার মালিক হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা পাট ব্যবসায়ী কেরামুদ্দিন আহমেদ। সকাল ৬টা নাগাদ আগুন লাগার খবর পান। তিনি জানান, স্থানীরাই প্রথমে আগুন নেভাতে সচেষ্ট হন। একদল আবার যত সম্ভব পাট সরিয়ে ফেলতে শুরু করেন। তাতেই কিছু পাট সরানো সম্ভব হয়। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে লেলিহান শিখার গ্রাস থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন স্থানীয়রা। তাতেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩০০ কুইন্টাল পাট।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে তুলসীহাটা দমকল অফিসে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পৌঁছয় দমকলের বাহিনী। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের একটি ইঞ্জিন। হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল বিভাগের আধিকারিক প্রবীর রায় জানান, ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
গোলার উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার গিয়েছে। তা থেকেই শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছেন দমকল আধিকারিকরা। গোলায় মোট ৭০০ কুইন্টাল পাট রাখা ছিল। স্থানীয়রা বেশিরভাগটাই রক্ষা করেছেন। কিন্তু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ৩০০ কুইন্টাল পাট, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। অগ্নিকাণ্ডের জন্য তিনিও গোলার উপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারকে দায়ী করেছেন।