BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান কুমারী মা-র আরাধনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই শুরু হয়েছে : ব্রহ্মচারী সত্যানন্দ মহারাজ

আগরতলা, ৩ অক্টোবর (হি. স.) : দিন পাল্টেছে। আজ মাতৃশক্তির বন্দনা শুধুই মন্দিরেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রত্যেক বাড়িতেই কন্যা সন্তানদের শ্রদ্ধার সাথে লালন-পালন করা হচ্ছে। আজ দুর্গা অষ্টমী উপলক্ষ্যে ভোলাগিরি আশ্রমের পূজারী ব্রহ্মচারী সত্যানন্দ মহারাজ কুমারী মা-র পূজার তাত্পর্য ব্যাখ্যা করে একথা বলেন তিনি। তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান কুমারী মা-র আরাধনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গোটা ত্রিপুরা শারদ উত্সবে মেতে উঠেছে। মা দুর্গার আরাধনায় সর্বত্র উল্লাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। প্রথা মেনে প্রতি দুর্গা অষ্টমী-তে কুমারী মা-র পূজা উদযাপিত হয়ে আসছে। আজ ত্রিপুরায় বিভিন্ন স্থানে কুমারী মা-র পূজা হয়েছে। আগরতলায় ভোলাগিরি আশ্রম সহ ত্রিপুরার একাধিক স্থানে কুমারী মা-র আরাধনায় রাজ্যবাসী ব্রতী হয়েছেন। হলিক্রস স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী আরাধ্য দেবনাথ-কে আজ ভোলাগিরি আশ্রমে কুমারী মা রূপে পূজা করা হয়েছে। ওই পূজা দেখতে হাজারো দর্শনার্থী আশ্রমে ভিড় জমিয়েছে।

আজ ভোলাগিরি আশ্রমের পূজারী ব্রহ্মচারী সত্যানন্দ মহারাজ বলেন, সময়ের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন দিন অনেক পাল্টেছে। পূজার্চ্চনায় সারা বিশ্বের মাঝে আধ্যাত্মিক শক্তির বিস্ফোরণ ঘটেছে। কুমারী মার-র পূজার তাত্পর্য এখন সকলের ঘরে ঘরে পৌছে গেছে। বিশেষ করে যাঁদের ঘরে কন্যা সন্তান রয়েছে প্রত্যেকেই কুমারী মা-র পূজা দেখে কন্যাদের প্রতি আরও শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, কন্যা সন্তানের অবহেলা এখন বন্ধ হচ্ছে। কন্যা ভ্রূণ হত্যাও বন্ধ হচ্ছে। বিজ্ঞানের দৌলতে কুমারী মা-র পূজা সারা বিশ্ব দেখতে পারছে। তাতে, মানুষের মনে ওই পূজা সুগভীর রেখাপাত করতে সক্ষম হয়েছে। সকলেও এখন মেনে নিচ্ছেন, কন্যা সন্তানদের সংরক্ষণ করতে হবে। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রসঙ্ঘও এখন কন্যা সন্তানদের সংরক্ষণ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা শুরু করেছে।

তাঁর মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও অভিযান কুমার মা-র আরাধনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে ওই অভিযানের মধ্য মানুষের ভেতরে নব চেতনার জন্ম হয়েছে। তাই, কন্যা সন্তানদের প্রতি মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা বাড়ছে। তাঁর কথায়, মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম আমাদের, সেই মাতৃশক্তির সুরক্ষার ব্যবস্থা জরুরী হিন্দু, মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ অকপটে মেনে নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *