কুমারগঞ্জ, ২ অক্টোবর (হি. স.) : দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ৷কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত গৃহবধূর নাম সোনালি রায় দাস(১৯)।
জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ মাস আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মূলগ্রাম এলাকার শঙ্কর দাসের সঙ্গে বালুরঘাটের বেলাইন এলাকার সোনালীর বিয়ে হয়। শঙ্কর পেশায় গাড়ি চালক। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকত। শ্বশুরবাড়ির দাবি, বিয়ের পরপরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই তবে সেবার তা রুখতে পেরেছিল পরিবারের সদস্যরা। আর পাঁচটা দিনের মত শনিবার সকালেও বাড়ির কাজকর্ম করছিল সে। এরপরই প্রায় ৯ টার দিকে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই গৃহবধূ।বিষয়টি পরিবারের লোকদের নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের লোকেরা। অভিযোগ,তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নানা রকম ভাবে অশান্তি লেগেই থাকত ওই দম্পত্তির মধ্যে। নানা রকম ভাবে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থা করা হত। তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁদের৷ এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল বাহিনী। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে, তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে রবিবার এই ঘটনায় মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। খুনের কথা অস্বীকার করেছেন সোনালীর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।