Railway Recruitment:রেলওয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দালালদের ভুয়ো প্রতিশ্রুতির ফাঁদে না পড়তে আবেদনকারীদের প্রতি আহ্বান

গুয়াহাটি, ২০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : সমগ্র দেশের রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি) সিইএন আরআরসি ০১/২০১৯-লেভেল ১ (পূ্র্ববৰ্তী গ্রুপ ডি) নিয়োগের জন্য আয়োজিত কম্পিউটার বেজড টেস্ট (সিবিটি) পরিচালনা করার জন্য একটি উচ্চ প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে নিযুক্ত করছে, যেখানে ১.১ কোটিরও অধিক প্রার্থী অবতীর্ণ হয়েছেন। ১২টি রেলওয়ে জোনে ইতিমধ্যেই সিবিটি-এর তিনটি পর্যায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। চতুর্থ পর্যায় শুরু হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।

যে কোনও ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধ ও লুপ্ত করতে সিস্টেমের মধ্যে বিভিন্ন নিরাপদ ব্যবস্থা ও সুরক্ষা তৈরি করা হয়েছে। প্রার্থীদের কম্পিউটার লজিকের মাধ্যমে রেন্ডমভাবে কেন্দ্র বরাদ্দ করা হয়। এছাড়া, একবার প্রার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজেদের রেজিস্টার করার পর, ল্যাব ও সিটের বরাদ্দও রেন্ডমভাবে করা হয়।

প্রশ্নপত্র উচ্চস্তরীয়ভাবে ২৫৬-বিট এনক্রিপশন করা থাকে, প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ সেই প্রশ্নপত্র উপলব্ধ করতে পারে না। প্রার্থী একবার কম্পিউটারে দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত লগইন করার পর পরীক্ষা শুরু হয় এবং তাই প্রশ্নপত্রের চূড়ান্ত ডিক্রিপশন এই পর্যায়ে স্থান লাভ করে।

প্রার্থীদের জন্য উপলব্ধ করা প্রশ্নপত্রের প্রশ্নগুলির বিন্যাসক্রমও প্রশ্নের জন্য উপলব্ধ চারটি রেন্ডম বিকল্পের সাথে রেন্ডমভাবেই সাজানো হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রত্যেক প্রার্থীকে একটি করে স্বতন্ত্র প্রশ্নপত্র প্রদান করা হয়। তাই মূল প্রশ্নপত্রের প্রশ্নের ক্রম থেকে বিন্যাসক্রমটি সম্পূর্ণভাবে পৃথক। সুতরাং, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রদান করা প্রশ্নপত্রের কোনও উত্তর প্রস্তুত করা সম্ভব নয় কারণ কোনও ব্যক্তিই সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ আসনের বিষয়টি উপলব্ধ করতে পারবেন না। পাশাপাশি প্রশ্নের ক্রমবিন্যাস ও বিকল্পগুলিও প্রদত্ত প্রার্থীর জন্য প্রকৃতপক্ষে স্বতন্ত্র। এটি কোনও ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপ ছাড়াই কম্পিউটার লজিকের মাধ্যমে একটি সিস্টেম উৎপন্ন ব্যবস্থা। সুতরাং, কেউ যদি দাবি করে যে সে প্রার্থীকে উত্তর প্রদান করতে পারবে, তাহলে সেটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো, ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।

প্রত্যকে প্রার্থীর সম্পূর্ণ রেকর্ডিং সহ সিসিটিভি ক্যামেরার কড়া নজরদারিতে এই পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। এছাড়া, রেলওয়ের পক্ষ থেকেও পরীক্ষা মসৃণভাবে পরিচালনার জন্য প্রার্থীদের কার্যকলাপের পাশাপাশি পরীক্ষা পরিচালনা এজেন্সির (ইসিএ) কর্মচারীদের নীরিক্ষণ করার জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিজেদের কর্মী নিয়োগ করে। রেলওয়ের পক্ষ থেকে যে কোনও ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ নজরদারি করার জন্য সার্ভার রুমে একজন আরপিএফ কর্মী সহ দুজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়।

প্রথমবারের জন্য লেভেল-১ পরীক্ষায় প্রার্থীদের আধার প্রত্যয়ীকরণ চালু করা হয়েছে। নিয়োগ পর্যায়ের পাশাপাশি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটি পর্যায়ে বায়োমেট্রিক ক্যাপচারিং ও ভেরফাইং-এর মতো ব্যবস্থাগুলির পাশাপাশি ছদ্মবেশ প্রতিরোধের অতিরিক্ত ব্যবস্থা হিসেবে আরআরবি-র দ্বারা আধার প্রত্যয়ীকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে।

রেলওয়ে কর্মী তথা ইসিএ-এর দ্বারা পরীক্ষার পূর্বে/সময়ে/পরে কড়া নজরদারি রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এর ফলে বৃহৎ সংখ্যক প্রার্থী, যারা কোনও অসৎ উপায় অবলম্বন করে/অনিয়মে জড়িত থাকে তারা নিয়মিতভাবে ধরা পড়ে। প্রার্থীদের সাথে যাতে কোনও সম্পর্ক তৈরি না হয় তার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ইসিএ পরিদর্শকদেরও নিয়মিতভাবে পরিবর্তন করা হয়।

যে সমস্ত প্রতারক নিয়োগের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের বিভ্রান্তি করে, সে সমস্ত দালালদের কবল থেকে সাবধান থাকার জন্য এবং বৈদ্যুতিন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত কোনও ভুয়ো খবরের প্রতি মনোযোগ না দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে মেধার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে এবং এই প্রক্রিয়াটি খুবই স্বচ্ছ, এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *