গুয়াহাটি, ২০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : অসমে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়ে পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সম্রাট চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি। অসমে নথিভুক্ত এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এনআইএ-র গুয়াহাটি দফতর সূত্রের খবরে প্রকাশ।
সূত্রটি জানিয়েছে, দক্ষিণ অসমের কাছাড় জেলার সিপিআই (মাওবাদী) মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মহিষপাতা থেকে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তীকে আজ গ্রেফতার করা হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার গুয়াহাটি শাখার সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সম্রাট চক্রবর্তী একজন কট্টর মাওবাদী নেতা৷ মাও-নেতা অরুণকুমার ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ সংযোগকারী ব্যক্তি সম্রাট। অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সংগঠনের বিস্তার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অরুণ ভট্টাচার্যকে।
২ সেপ্টেম্বর এনআইএ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে অরুণ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে। পরে তদন্তে সম্রাট চক্রবর্তীর নাম উঠে আসে। পশ্চিমবঙ্গ ভিত্তিক সিপিআই (মাওবাদী) সক্রিয় সদস্য তথা নেতা সম্রাট চক্রবর্তী। তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতা এবং অসমে ঘাঁটি গেড়ে কর্মরত অরুণ ভট্টাচার্যের মধ্যে গোপন যোগাযোগের অন্যতম লিংকম্যান।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত মার্চ মাসের ৭ তারিখ কাছাড় জেলার উধারবন্দ থানাধীন জয়পুর এলাকার পাতিছড়া চা বাগান থেকে সিপিআই (মাও)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় সদস্য তথা মাওবাদী নেতা অরুণকুমার ভট্টাচার্য ওরফে কাঞ্চনদা ওরফে জ্যোতিষ ওরফে কবীর ওরফে কনক এবং কালাইন থেকে আকাশ ওরাংকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। সিপিআই (মাও)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সক্রিয় সদস্য, ৭০ বছরের অরুণকুমার ভট্টাচাৰ্য (কাঞ্চনদা) কট্টরপন্থী সংগঠনের অসম রাজ্য সাংগঠনিক সমিতির সদস্য ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।