আগরতলা, ২০ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় শাসক বিজেপি জোট শরিক দল আইপিএফটি-র দলত্যাগী বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মার বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ করেছেন অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর সদস্য পদ খারিজ করা হয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অধ্যক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আইপিএফটি বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা। কিন্তু তাঁকে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের আবেদন জানিয়েছিলেন আইপিএফটি সুপ্রিমো এন সি দেববর্মা। এরপর থেকে দীর্ঘ শুনানি হয়েছে। কিন্তু অধ্যক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে বৃষকেতু দেববর্মা কখনোই শুনানিতে অংশ নেননি। গতকাল ছিল চূড়ান্ত শুনানির দিন। ওইদিনও তিনি সশরীরে বিধানসভায় অধ্যক্ষের কাছে হাজির হননি। আজ তাঁর বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন অধ্যক্ষ।
এ-বিষয়ে ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী বলেন, বৃষকেতু দেববর্মা আইপিএফটি-র নির্বাচনী চিহ্নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি পরবর্তীতে তিপরা মথা দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেন, বিধায়ক পদে পদত্যাগ করে চিঠি দিয়েছিলেন বৃষকেতু দেববর্মা। কিন্তু, তিনি নিয়ম মেনে ওই চিঠি দেননি। বরং, দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর আজীবন সদস্য পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন আইপিএফটি সুপ্রিমো এন সি দেববর্মা। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে একাধিকবার শুনানির জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। বৃষকেতু দেববর্মার জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তিনি নোটিশের জবাবে কখনোই সশরীরে হাজির হননি। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে, বলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী।তিনি বলেন, ত্রিপুরা বিধানসভার এই সিদ্ধান্ত ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বৃষকেতু দেববর্মা প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।