তাজপুর বন্দর নির্মাণে কেন্দ্রের কোনও সাহায্য নেই, উদ্যোগী রাজ্য নিজেই, দাবি ফিরহাদের

কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : তাজপুর বন্দর নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম সাহায্য করেনি৷ রাজ্য নিজেই উদ্যোগী হয়ে রাজ্য ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি করলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম৷

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম জানালেন, একাধিক সংস্থা এই গ্লোবাল টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল৷ সেই টেন্ডার পেয়েছে আদানি৷ এই বন্দরের বিল্ড ও অপারেট সিস্টেম পরিচালনা করবে আদািন গ্রুপ৷ ফিরহাদ জানিয়েছেন, এর ফলে রাজ্যে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে৷

বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এ বারে তাজপুর বন্দর পাবে আদানি৷ কলকাতার বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়েছিলেন, দ্রুত তৈরি হবে তাজপুর বন্দরের নির্মাণ৷ তিনি বলেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে এই গভীর সমুদ্রবন্দর৷ যদিও টেন্ডার পাওয়ার বিষয়ে নাম উঠে আসে জিন্দালদেরও৷ যদিও শেষ পর্যন্ত বন্দর পাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী৷

সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’ হাতে দিয়ে তাঁদের আহ্বান জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি আদানি গোষ্ঠী। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক ভাল। এর আগে একাধিকবার তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে দু’জনের মধ্যে। হলদিয়া, তাজপুরে বন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আদানি। শুধু তিনিই নন, তাঁর ছেলেও নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এ রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আদানি গোষ্ঠী আগ্রহী। তেমনই মুখ্যমন্ত্রীও এই শিল্পগোষ্ঠীকে সুযোগ দিতে চান, সেই ইঙ্গিতও ছিল স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *