নিম্নমানের কাজ, নির্মাণের তিন মাসেই ভেঙ্গে গেল রাস্তা

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৯ সেপ্টেম্বর ৷৷  নির্মাণের মাত্র তিন মাসের মধ্যে যাতায়াতের রাস্তাটি ভেঙ্গে তলিয়ে গেল নদীগর্ভে৷ অভিযোগ নিম্নমানের কাজের ফলেই  রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ একপ্রকার বিচ্ছিন্ন৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তরের অধীন দশমিঘাট এবং বাইশঘড়িয়া সংযোগস্থলে৷  জানা গেছে, বাইশঘড়িয়া এলাকাটি কৃষি প্রধান এলাকা৷ এই এলাকায়  বসবাসকারী ৯০ শতাংশ পরিবারই কৃষির উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকা৷ এই এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারের দাবি ছিল খোয়াই নদীর উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ৷ এই তাদের দাবি অনুযায়ী তেলিয়ামুড়া পূর্ত দপ্তর থেকে পাকা সেতু সহ রাস্তা নির্মাণ করা হয়৷ বিগত তিন মাস পূর্বে খুব ঘটা করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হল পাকা সেতু সহ রাস্তাটি৷ কয়েক মাস রাস্তাটি ভালো থাকলেও মাস খানেক আগে রাস্তার এক কোণা ধরে ভাঙ্গতে থাকে৷ বিগত কিছুদিন ধরে পাকা সেতুর সংযোগস্থলে রাস্তাতে ভগ্ণদশায় পরিণত হয়ে পরে রয়েছে৷ ফলে যানবাহন চলাচলে খুবই অসুবিধা  সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসী সহ যান চালকদের অভিযোগ৷ বিগত কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় যান দুর্ঘটনা ঘটে চলছে অবিরাম৷ বিশেষ করে ওই এলাকাতে কৃষি প্রধান হওয়াতে কৃষিজ ও ফসল বাজারজাত করতে পারছে না দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে৷ ওই এলাকার বসবাসকারী কৃষকদের অভিমত, বাইশঘড়িয়া এলাকার কৃষিজ ফসল রাজ্য সহ বহিঃরাজ্যের বাজার গুলিতে কদর রয়েছে৷ রাস্তাটি ভগ্ণদশার পরিণত হওয়ার কারণে কৃষিজ ফসল বাজারজাত করতে পারছে না আর তার ফলে রাজ্য সহ তেলিয়ামুড়া বাজারে সব্জির দাম বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছে ওই এলাকার কৃষকরা৷ এলাকাবাসীদের আরো অভিযোগ, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের করা হয়েছিল৷ এ নিয়ে ওই এলাকার কয়েকজন অভিযোগ জানালেও ঠিকাদার তাদের কথায় কোন আমল দেয়নি৷ ফলে নিম্নমানের রাস্তা নির্মাণের খেসারত দিতে হচ্ছে ওই এলাকাবাসীদের কয়েক মাসের মধ্যেই৷ তাদের আরো অভিযোগ,, রাস্তাটি ভগ্ণদশার কারণে অনেক সময়ের পথ অতিক্রান্ত করে বাজার হাটে যেতে হচ্ছে৷ তাদের আরো অভিযোগ, রাস্তা দুইপাশে ড্রেইন নির্মাণ করার কথা থাকলেও কেবলমাত্র রাস্তার একপাশেই ড্রেইন নির্মাণ করা হয়েছে৷ অন্য প্রান্তে রাস্তাকে বাঁচানোর জন্য কয়েকটি বোল্ডার দেওয়ার কারণে ই রাস্তাটি বর্তমানে ভগ্ণদশার পরিণত হয়েছে৷ এলাকাবাসীদের দাবি অতিসত্বর যদি রাস্তাটি সংস্কার না করা হয় তবে তেলিয়ামুড়া সঙ্গে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে৷ এখন দেখার বিষয় পূর্ত দপ্তর কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন রাস্তাটি সংস্কারের জন্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *