Dengue Outbreak :বাকুড়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব, সতর্ক পুরসভার

বাঁকুড়া, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : বাঁকুড়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। পুজোর মুখেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া পুর এলাকায় ৩৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। শহরের ২৩নং ওয়ার্ডে র কেঠারডাঙ্গা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশী। ওই এলাকাতেই ২৪জন আক্রান্ত হওয়ায় পুরসভা এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন, কোনও বাড়ীতে জ্বরে আক্রান্তের খবর পেলেই রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।এছাড়াও জমা জল পরিষ্কার করানো, মশা মারা ওষুধ স্প্রে করা সহ যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাঁকুড়া পুরসভার উপ পৌরপ্রধান হিরন চট্টরাজ বলেন শহরে বিশেষ করে কেঠারডাঙ্গা এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে।পুরসভার পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৬০জনের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই দলটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জ্বরে আক্রান্ত হলে রক্ত পরীক্ষা করানো, ওষুধ পত্র প্রদান সহ এলাকায় জমা জল নিষ্কাশন, মশা মারা ওষুধ প্রয়োগ করে চলেছে। টানা সাতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে।তারপর পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তিনি এবিষয়ে জনগনকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ

পার্থের জামিন খারিজ, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ
কলকাতা, ১৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.) :এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিতে ‘মূল কাণ্ডারি’ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির সময় তিনিই ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। শুক্রবার আদালতে ঠিক এই দাবি করে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে তাঁর।

ইডি-র মামলায় আগে থেকেই জেল হেফাজতে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরই মধ্যে নতুন মামলা। গ্রেফতার হওয়ার প্রায় ২ মাস পর তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছে সিবিআই। পার্থবাবুর তরফে এ দিন আদালতে প্রশ্ন ছিল, জেলে থাকতে আবার সিবিআই হেফাজতের প্রয়োজন কী? সিবিআই এ দিন সাফ জানায়, উনিই এই দুর্নীতির মাথা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রীর ভূমিকা কতটা থাকে, সেই প্রশ্নও এ দিন ওঠে আদালতে।

সিবিআই জানায়, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় যে পাঁচ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে তিন জনই গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের দাবি, পুরো কাণ্ডে পার্থবাবুর ভূমিকাই বড়। কারণ, ওই সময়ে তিনি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।

তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, সিবিআই একাধিক বার হাজিরার জন্য ডেকেছে। কিন্তু এই মামলায় এক বারও ডাকেনি। তিনি জানান, পার্থবাবু এখন জেল হেফাজতেই রয়েছেন। তাই আলাদা করে কেন তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছে সিবিআই! প্রাক্তন মন্ত্রীকে জেলে গিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।

এর পর দেখা যায়, পার্থবাবু উঠে এসে তাঁর আইনজীবীকে কিছু একটা বলছেন। পরে পার্থবাবুর আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে জামিন দিলেও সিবিআই নিজেদের কাজ করতে পারে। কারণ, ইতিমধ্যে এই একই মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। এখন তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।

পার্থবাবুর আইনজীবীর দাবি, ‘সিবিআই তিনবার ডেকেছিল তাঁর মক্কেলকে। হাজিরাও দিয়েছিলেন তিনি। তখন কেন গ্রেফতার করা হয়নি?’সিবিআই-এর আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় ডাকা হয়নি পার্থকে। ডাকা হয়েছিল গ্রুপ-ডি নিয়োগ মামলায়। আর এ ক্ষেত্রে গ্রুপ সি নিয়োগ মামলায় ডাকা হচ্ছে তাঁকে।

দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের মধ্যে বিচারক প্রশ্ন করেন, পুরো দুর্নীতির ঘটনায় কি পার্থবাবুর কোনও হাত নেই বলে বলতে চান তাঁর আইনজীবী। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবীর জবাব, ‘‘ওঁর পিছনে কিছু হলে, উনি কী করবেন? সমাজের প্রতি পার্থের দায়বদ্ধতা প্রমাণিত। সমাজের প্রতি তাঁর অবদান রয়েছে। অভিযোগও এখনও প্রমাণিত নয়। তা ছাড়া উনি কোথাও পালিয়েও যাচ্ছেন না। তা হলে গ্রেফতারের কী প্রয়োজন?’’ শেষ পর্যন্ত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্থবাবুকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *