ভারতরত্ন – ৬
উমাকান্ত – ১
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। ভারতরত্নের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে উমাকান্ত কোচিং সেন্টার। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে ভারতরত্ন সংঘ। পক্ষান্তরে, প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে উমাকান্ত কোচিং সেন্টারকে। গ্রুপ লিগে আরও তিনটি ম্যাচ রয়েছে। প্রথম ম্যাচে হারের পেছনে কোথায় ভুল ত্রুটি রয়েছে সেটা পর্যালোচনা করে দেখা আবশ্যক। ত্রিপুরা ফুটবল এসোসিয়েশন আয়োজিত ঘরোয়া সি-ডিভিশন ক্লাব লীগ ফুটবলের অষ্টম ম্যাচ। ভারতরত্ন সংঘ বনাম উমাকান্ত কোচিং সেন্টারের খেলা ছিল। নরসিংগড়ের পঞ্চায়েত গ্রাউন্ডে। বিকেলে দিনের একমাত্র ম্যাচে ভারতরত্ন সংঘ ৬-১ গোলের ব্যবধানে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। প্রথম ম্যাচে সাই স্যাগের বিরুদ্ধে হারটা তাদের এখনো ভাবিয়ে তুলছে। বলা বাহুল্য, আজকের ম্যাচে প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। ভারতরত্ন সংঘের জয় কিষান দেববর্মা ও মঙ্গলসিং দেববর্মা দুটি করে গোল করেছে। ইন্দ্রজিৎ দেববর্মা পেয়েছে একটি গোল। আরেকটি গোল এসেছে আত্মঘাতী হিসেবে। খেলার পনেরো মিনিটের মাথায় জয় কিষান দেববর্মার গোলে ভারতরত্ন লিড নেয়। পাঁচ মিনিট বাদে উমাকান্ত কোচিং সেন্টারের সিয়াম থানা ডারলং গোলটি শোধ করে খেলায় সমতায় ফিরিয়ে আনে। প্রথমার্ধের খেলার অন্তিম সময়ে মঙ্গল সিং দেববর্মার গোলে ভারতরত্ন ২-১এ লিড পায়। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতেই আত্মঘাতী একটি গোলে উমাকান্ত আরো একটু পিছিয়ে যায়। দু মিনিট বাদে জয় কিষান তার দ্বিতীয় গোলটি করে ব্যবধান বাড়িয়ে চার-এক করে নেয়। পরবর্তী সময়ের দু’দলের আক্রমণাত্মক লড়াই চলতে থাকলে আধ ঘন্টা সময়ের মধ্যে কেউ গোল করতে পারেনি। ৭৩ মিনিটের মাথায় ভারতরত্ন সংঘের ইন্দ্রজিৎ দেববর্মা একটি গোল করে এবং তিন মিনিট বাদে মঙ্গলসিং দেববর্মা তার দ্বিতীয় গোলটি এবং দলের পক্ষে ষষ্ঠ গোল হয়। প্রথমার্ধের খেলায় খেলোয়ারদের মধ্যে একটু রাফ-এন্ড-টাফ লড়াই চলতে থাকলে রেফারী দু’দলের দুজনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করাতে বাধ্য হন। ম্যাচ পরিচালনায় ছিলেন রেফারি শিবজ্যোতি চক্রবর্তী, হরি শর্মা, সুকান্ত দত্ত ও তাপসী পাল। দিনের খেলা: ব্লাডমাউথ ক্লাব বনাম বিবেকানন্দ ক্লাব। বিকেল তিনটায় নরসিংগড়ের পঞ্চায়েত গ্রাউন্ডে।