কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : অঘটন না ঘটলে, জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রো করিডোরের জোকা-তারাতলা অংশে বৃহস্পতিবার বহুল প্রতীক্ষিত প্রথম ধাপের মেট্রো চলবে। বুধবার রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরাও বিষয়টি নিয়ে এদিন কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর দৈর্ঘ্য ১৪ কিমি। এর মধ্যে জোকা, ঠাকুরপুকুর, সাখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ও তারাতলা— এই ছ’টি স্টেশন নিয়ে হচ্ছে ৬.৫ কিমি। সফল ট্রেন মহড়া এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার (সিআরএস) এর পরবর্তী অনুমোদনের পরেই এই অংশে ট্রেন চালু হবে। সিআরএস-ই গোটা দেশে যেকোনও নতুন মেট্রো লাইন অনুমোদন করে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হিসাবে তাঁর মেয়াদকালে এই প্রকল্প তৈরি করেন। তিনি নিজেই এটির শিলান্যাস করেন ২০১১ সালের জুলাইয়ে। নানা কারণে বেশ কয়েকটি সময়সীমা অনুসরণ করা যায়নি।
মহড়াগুলি একটি নন-এসি রেক দিয়ে পরিচালিত হবে। এই রেক বর্তমান (উত্তর-দক্ষিণ) মেট্রোপথে আর ব্যবহার করা হয় না। আট গাড়ির রেকের প্রথম কোচটি নোয়াপাড়া কারশেড থেকে ২৮ জুলাই নিয়ে আসা হয়েছিল। জোকা ডিপোতে একত্রিত করে রেকটি ডিপোর ভিতরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। এখন তারাতলা পর্যন্ত প্রথমবার চালানোর জন্য ভায়াডাক্টে বসানো হয়েছে। পাতাল রেলস্টেশন ও ডায়মন্ড হারবার রোডের মাঝখানে নির্মিত হয়েছে ভায়াডাক্ট। এর দু’পাশে বসবাসকারী বেহালার লোকেরা প্রথম ট্রেন চলতে দেখবেন।
জোকা-তারাতলার তৃতীয় রেল ব্যবস্থা প্রথমবার জোকা সাবস্টেশনের ৩৩ কেভি এসি ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জ করা হয়েছিল। এটি ছিল মহড়ার একটি সূচনা। কারণ থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টর (টিআরসিসি)র মাধ্যমে রেকগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

