ট্রেনের পুরনো কোচগুলিকে রেস্তরাঁয় রূপান্তর করছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে

গুয়াহাটি, ১৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : এলএইচবি কোচের প্রসারের পাশাপাশি ভারতীয় রেলের পুরনো কোচগুলিকে পরিষেবা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ট্ৰেনের যে সমস্ত পুরনো কোচের পরিচালনা রেলওয়ে বন্ধ করে দিয়েছে, সেগুলি কোচকে রেস্তরাঁর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (এনএফআর) মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান এনএফআর-এর পক্ষ থেকেও ব্যবহারের অনুপযুক্ত কিছু পুরোনো কোচকে রেস্তরাঁয় রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাটিহারে এ ধরনের একটি রেস্তরাঁ এনএফ রেলওয়ে খুলেছে। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে আরেকটি রেস্তরাঁ পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানান, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পাঁচটি ডিভিশনের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ১৫টি রেস্তরাঁ স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সব্যসাচী দে জানান, কাটিহার ডিভিশনের দার্জিলিং এবং যোগবাণীতে দুটি কোচ-রেস্তরাঁ স্থাপনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ কোচবিহার, নিউ আলিপুরদুয়ার, মাদারিহাট, লাটাগুড়ি, চালসা, রাজা ভাত খাওয়া ও নিউ মাল-এ সাতটি কোচ-রেস্তরাঁ স্থাপনের সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছে এনএফআর। রঙিয়া ডিভিশনের রঙিয়া ও রাঙাপাড়া নর্থ, লামডিং ডিভিশনে তিনটি এবং গুয়াহাটিতে দুটি ও একটি ডিফুতে এবং তিনসুকিয়া ডিভিশনের নিউ তিনসুকিয়ায় একটি করে কোচ-রেস্তরাঁ স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, কোচ-রেস্তরাঁ চালু করার জন্য উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ৪৩টি স্থানকে নির্বাচন করা হয়েছে। কাটিহার ডিভিশনে ৬-টি, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে ৮-টি, রঙিয়া ডিভিশনে ১৪টি, লামডিং ডিভিশনে ১১টি এবং তিনসুকিয়া ডিভিশনে ৪-টি কোচ-রেস্তরাঁ স্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর কাজ প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে বলে জানান তিনি।

পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য এই কোচ-রেস্তরাঁগুলি নান্দনিক ও সুন্দর ঐতিহ্যগত রূপে সজ্জিত করা হয়েছে। পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব সহ যাঁরা এই কোচ-রেস্তরাঁগুলিতে আহারের অভিজ্ঞতা নিতে আসবেন তাঁরা প্রত্যেকেই এক নান্দনিক অনুভূতি উপভোগ করতে করবেন। কোচ-রেস্তরাঁগুলিতে খাদ্য, স্ন্যাকস ও পানীয় ক্রয় করারও সুবিধা থাকবে, জানান উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। তিনি আরও জানান, রেলওয়ের ভাড়াহীন রাজস্ব উৎপন্নের পাশাপাশি এনএফ রেলওয়ের এই উদ্যোগের ফলে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *