Ranjit Kumar Das:পিএমএওয়াই-জি-এর অধীনে গত ১৫ মাসে রাজ্যে ২.৫০ লক্ষ ঘরের কাজ সম্পূর্ণ : মন্ত্রী রঞ্জিত১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ১০০০টি অমৃত সরোবরের খননকার্য একসঙ্গে শুভারম্ভ

গুয়াহাটি, ১০ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (পিএমএওয়াই-জি)-এর অধীনে গত ১৫ মাসে রাজ্যে ২.৫০ লক্ষ ঘরের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, জানান পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস।

আজ শনিবার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের কমিশনারের কার্যালয় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তব্য পেশ করছিলেন মন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর অধীনে অসমের ১ (এক) লক্ষ সুবিধাভোগীকে গৃহ নির্মাণের জন্য ফান্ড রিলিজ প্ৰক্ৰিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুভারম্ভ করেন। সভা শেষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন মন্ত্রী দাস জানান, ভারতের প্ৰধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিগনির্দেশনা এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার পরিচালনা ও সবল নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ও গ্ৰামোন্নয়ন বিভাগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে করতে অহর্নিশি কাজ করছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে কেন্দ্ৰের অনুদানে অসম ১৬ লক্ষ গৃহের মধ্যে ১৩ লক্ষ ঘরের জন্য অর্থ ইতিমধ্যে মঞ্জুর হয়েছে। এই ১৩ লক্ষ গৃহের মধ্যে রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্ৰায় ৬,৫০,০০০টি গৃহ নির্মাণ সম্পূৰ্ণ করেছে এবং এর মধ্যে প্ৰায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার ঘরের নির্মাণকার্য গত ১৫ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করে তোলা হয়েছে। অসমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর অধীনে গৃহ নিৰ্মাণকার্যের গতি আরও ত্বরান্বিত করে তোলার কথা বলে মন্ত্ৰী জানান, গত মে মাসে এক সঙ্গে পাঁচ লক্ষ সুবিধাভোগীকে গৃহ আবণ্টনপত্ৰের সঙ্গে প্রথম কিস্তির অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

এই সব সুবিধাভোগীদের গৃহনিৰ্মাণের কাজও বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে। আজ প্রথম কিস্তির তহবিল রিলিজ করে রাজ্যের ১ লক্ষ সুবিধাভোগীর গৃহ নিৰ্মাণের কাজ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এক সঙ্গে শুরু করা হবে বলে মন্ত্ৰী দাস জানান। ওই দিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়তের জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন পরিষদ, ষষ্ঠ তফশিলি এলাকার জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবকদের উপস্থিতিতে সুবুধাভোগীদের গৃহ নির্মাণ কার্য শুরু করা হবে, জানান মন্ত্ৰী রঞ্জিত দাস।

সঙ্গে মন্ত্রী দাস বলেন, ওই একই দিন ইন্দির মিরি সর্বজনীন বিধবা পেনশন প্রকল্পের অধীনে অসমের প্ৰায় ১২ হাজার সুবিধাভোগীকে ২৫ হাজার টাকা করে এককালীন সাহায্য প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, ইন্দিরা মিরি সর্বজনীন বিধবা পেনশন প্রকল্পের অধীনে ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্ব-বিধবাদের মাসিক পেনশন প্ৰদান করা হয়। রাজ্যের দু লক্ষের বেশি সুবিধাভোগী এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। তদুপরি, মাসিক পেনশন ছাড়াও ১৮-৪৮ বছর বয়সি বিধবা যাঁদের স্বামী ২০১৯ সালের ১ এপ্ৰিল বা তার পর প্রয়াত হয়েছেন, তাঁদেরও এককালীন ২৫,০০০ টাকার আৰ্থিক সাহায্য এই প্রকল্পের অধীনে প্রদান করা হয়।

মন্ত্রী রঞ্জিত দাস আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদীর স্বপ্নের প্ৰকল্প মিশন অমৃত সরোবর প্রকল্প অসমে অধিক ফলপ্রসূ এবং কার্যকরীভাবে রূপায়ণে রাজ্য সরকার সৰ্বাধিক অগ্রাধিকার প্ৰদান করেছে।

অসমে সৰ্বমোট ৩০০৭টি অমৃত সরোবর গড়ে তোলা হবে। প্ৰতিটি জেলায় ৭৫টি করে অমৃত সরোবর নির্মাণ করা হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যে ১০০০টি অমৃত সরোবরের খননকার্য একসঙ্গে শুভারম্ভ করতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্ৰী দাস জানান। ওইদিন গুয়াহাটির শ্ৰীমন্ত শংকরদেব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠেয় কার্যক্রমে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা ইন্দিরা মিরি সৰ্বজনীন বিধবা পেনশন প্রকল্পের অধীনে এককালীন সাহায্য প্রদান করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর অধীনে ১ লক্ষ গৃহের নিৰ্মাণ কাৰ্য এবং ১০০০টি অমৃত সরোবরের খননকার্যের আনুষ্ঠানিক শুভারম্ভ করবেন বলেও জানান মন্ত্রী রঞ্জিতকুমার দাস।

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের কমিশনার বিক্রম কৈরি, অতিরিক্ত কমিশনার রাতুল পাঠক, যুগ্মকমিশনার যথাক্রমে বিপুলকুমার দাস, গুরনেল সিং, চিন্ময়প্রকাশ ফুকন, এসএ লস্কর, অজিত বরুয়া সহ বিভাগীয় বেশ কয়েকজন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *