নিয়োগে অনিয়মে ফের সিপিআইএম-কে দোষী বলে সাব্যস্ত করার চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে অনিয়মে ফের সিপিআইএম-কে দোষী বলে সাব্যস্ত করার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের জুলাইয়ের পর গত মাসের শেষে তৃণমূলের বিরাট সমাবেশে দাঁড়িয়ে বাংলার চাকরি নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু প্রকাশ্যে আসতেই, বামেদের প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে হাত মুঠো করে অগ্নিশর্মা হয়ে বলেন,’ ওদের আমলে কাগজ একটাও নেই। আমরা খুঁজে পাইনি,আমরা ফাইল পাইনি, আমরা আলমারি পাইনি, আমরা কিছু দেখতে পাইনি।’

বিগত সভায় মঞ্চে উঠেই অগ্নিশর্মা হয়ে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন করেছিলেন, কত চাকরি হয়েছে বাম আমলে? কত চাকরি তৃণমূলের সরকারের আমলে হয়েছে? সেদিন হাতে এনেছিলেন তাঁর সরকারের আমলে ঠিক কত চাকরি হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান। এদিন বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েকটা ছেলে -মেয়ে বসেছিল রাস্তায়, আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, আমি বলেছিলাম তখন, এদের কয়েকজনকে করে দিন।

তখনকার শিক্ষামন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, যে এদের যা নম্বর নেওয়া যাচ্ছে না। আমার আর একটু দয়ামায়া বেশি। আমি বলেছিলাম, দিন না একটু। করে দিন না, বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে কী আর হবে? তারপরেও, আপনারা জানেন অনেক বিভাগ আছে। সিপিএম চলে গেলেও যে, অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারও চাকরি খাইনি। সিপিএম আমলের একটা কাগজ খুঁজে পানতো আলমারিতে, একটা কাজও পাবেন না। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন। আমাদের আমলে কাগজ আছে।’

প্রসঙ্গত, ২৯ আগস্ট তৃণমূলের বিরাট সমাবেশে বামেদের আক্রমণ করে তিনি সেদিন বলেছিলেন,’ আপনারা বলুন তো, কত ছেলে মেয়ে চাকরি পেয়েছে আমাদের আমলে ? সিপিএম তোমার আমলে, লিস্ট কোথায় ? আলমারি কোথায়? ডকুমেন্ট কোথায়? কারা চাকরি পেয়েছে? পয়সা নিয়েছো, আর চাকরি দিয়েছো। তাই সিস্টেমটা ওরাই ভাল জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম, আর এই চেয়ারে না থাকতাম, আমি আমার বোনেদের বলতাম, যারা এই মিথ্যে কথা রটনা করে, তাঁদের জিভগুলিকে টেনে খুলে দিতে।’

এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল সার্ভিস মনে রাখবেন, স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ টি চাকরি দিয়েছি।’ আমাদের সরকারে ১৭৬ টি পলিটেকনিক, ৭ হাজার নতুন স্কুল, স্কুলে যাওয়ার জন্য ব্যাগ, বই বিনে পয়সায় দেওয়া হচ্ছে। কন্যাশ্রী ৮০ লক্ষ স্কলারশিপ পায়। সবুজ সাথী সাইকেল ১ কোটি ৭ লক্ষ, শিক্ষাশ্রী ১ কোটি ৫ লক্ষ এবং এছাড়াও বারো ক্লাসে বিনাপয়সা ট্যাব দেওয়া হয়, এগুলি মনে রাখবেন।