BRAKING NEWS

চড়িলাম জৈব গ্রাম পরিদর্শন করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ৩ সেপ্টেম্বর :  রাজ্যের ১০০ টি গ্রামকে ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর জৈবগ্রাম  হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সহযোগিতায় ত্রিপুরা সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসে এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়৷ ইতিমধ্যে দশটি জৈবগ্রাম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে৷ ভারতবর্ষের মধ্যে প্রথম জৈব গ্রামের স্বীকৃতি পেয়েছে চড়িলাম বিধানসভার উত্তর ব্রজপুরের দাসপাড়া৷  প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন ঘটেছে৷ সেই জৈব গ্রাম পরিদর্শনে গেলেন রাজ্যের  প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ 

শনিবার বিকালে তিনি  দাস পাড়ায় যান৷ কিভাবে  অখ্যাত দাস পাড়া  বিখ্যাত হয়ে উঠেছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে সেখানে যান বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন৷  গ্রামের  অধিকাংশ পরিবার কৃষিজীবী৷ চাষাবাদ,  গোপালন, পশুপালন, মৎস্য চাষ  তাদের পেশা৷ সরকারি খরচে তৈরি করে দেয়া হয়েছে গোবর গ্যাস প্লান্ট৷ সেই গ্যাসেই হচ্ছে রান্নাবান্না৷ গ্যাস উৎপাদনের পর সেই গোবর আবার ব্যবহার করা হচ্ছে চাষের জমিতে৷ কীটনাশক রাসায়নিক সার ব্যবহার কমেছে ৭৫ শতাংশ৷ এতে করে ফসলের যেমন উৎপাদন বেড়েছে তেমনি জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সেই সঙ্গে ফসলের স্বাদ এবং গুণগতমান বজায় রয়েছে৷ 

এই গ্রামের পশুপালকদের জন্য হাঁস মোরগ ছাগল গরু বিতরণ করা হয়েছে৷ মাছ চাষীদের বিতরণ করা হয়েছে বিনামূল্যে মাছের পোনা৷ কৃষি জমিতে প্রচলিত বিদ্যুতের ব্যবহার কমেছে৷ জল সেচের জন্য বসানো হয়েছে সৌর চালিত পাম্প  সেট৷ গ্রামের অলিতে গলিতে বসানো হয়েছে সৌর চালিত স্ট্রিট লাইট৷ অর্থাৎ  প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে এই গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন করা হচ্ছে৷ সেখানে গোবর গ্যাসে চুল্লিতে রান্না করা চা পান করেন বিপ্লব কুমার দেব৷ কথা বলেন গ্রামের মানুষের সঙ্গে৷ 

এরপর তিনি ছুটে যান বিশ্রামগঞ্জের বকর্োবাড়িতে৷  সেখানেও জৈব গ্রাম তৈরির কাজ চলছে৷ বদলে গেছে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা৷ প্রতিটি বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণ হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছে প্রতিটি পরিবার৷ শুকর  ছাগল গরু পালন করে বাড়তি রোজগার করছে গ্রামের পরিবারগুলি৷ পশুপালন চাষাবাদ মৎস্য চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে৷ মাসরুম চাষের প্রশিক্ষণ এবং চাষের সামগ্রী সরকারি ভাবে দেয়া হয়েছে৷ মাসরুম চাষ করে বাড়তি রোজগারের দিশা পেয়েছে মহিলারা৷ সেই বক্রবাড়িতে একসময় পানীয় জলের সংকট ছিল৷ এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে পানীয় জল৷ সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি জানান এই প্রকল্পটি বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর চালু হয়েছে৷  শনিবার চড়িলামের দাসপাড়া বিখ্যাত হয়ে উঠেছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পৌঁছে গিয়েছে এই গ্রাম৷ আত্মনির্ভরতার যে স্বপ্ন সরকার দেখিয়েছে সেই লক্ষ্যেই এগুচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *