বাবরি থেকে তিন তালাক, যুগান্তকারী মামলার রায় দিয়ে এমনিতেই খ্যাত ইউ ইউ ললিত

নয়াদিল্লি, ২৭ আগস্ট (হি.স.): ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন উদয় উমেশ ললিত। প্রধান বিচারপতি হিসাবে ললিতই হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী থেকে সরাসরি সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হলেন। এর আগে ১৯৬৪ সালের মার্চ মাসে বিচারপতি এসএম সিকরি শীর্ষ আদালতের আইনজীবী থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং পরে প্রধান বিচারপতি হন। বিচারপতি ললিত একজন খ্যাতিমান আইনজীবী ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন।

এন ভি রামানার উত্তরসূরি ললিতই এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের সব থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ বিচারপতি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়ে বহু বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ললিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়ার পর থেকে বিতর্কিত ‘তিন তালাক’ মামলা-সহ একাধিক যুগান্তকারী মামলায় রায় দিয়েছেন ললিত। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৭ সালের অগস্টে ‘তিন তালাক’ প্রথাকে ‘অকার্যকর’, ‘অবৈধ’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দেয়। এই সাংবিধানিক বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ললিত। তিন জন বিচারপতি বিশেষ সম্প্রদায়ের এই বিবাহবিচ্ছেদ প্রথার বিপক্ষে রায় দেন। ললিতও রায় দেন বিপক্ষেই।

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার জন্য সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চেও ছিলেন বিচারপতি ললিত। এই বেঞ্চের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তবে ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি অর্থাৎ যে দিন এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল, সে দিন শুনানির শুরুতেই নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নেন ললিত। ২জি স্পেক্ট্রাম কাণ্ড মামলায় ললিতকে সিবিআই-এর সরকারি আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

বিচারপতি ললিত ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালের জুন মাসে তিনি আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন এবং ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বম্বে হাই কোর্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি দিল্লি হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। এর পর ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে একজন বরিষ্ঠ আইনজীবী হিসাবে মনোনীত করা হয়।