আগরতলা, ২৬ আগস্ট৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর এলাকায় চুরি ডাকাতির ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে৷ গতকাল রাতেও শহর এলাকার জয়নগরে এক পুলিশ কর্মীর বাড়িসহ দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে চোরের দল ভিতরে ঢুকে সোনা গয়না সহ নগদ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে গেছে৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র আতঙ্কে সৃষ্টি হয়েছে৷
গোটা রাজধানীই এখন চরম নিরাপত্তাহীন৷ এবার পুলিশ হেডকোয়র্টারের নাকের ডগায় দুঃসাহসিক চুরি সংগঠিত করে নিরাপদে কেটে পড়েছে চোর৷ শুধু তাই নয়, পুলিশ কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে গেছে চোরের দল৷ ঘটনা বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর জয়নগর ৬ নং রোড এলাকায়৷ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও আতংক ছড়িয়েছে৷ শহর ও শহরতলীতে একের পর এক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আতংকিত শহরবাসী৷ বিস্ময়ের ঘটনা হলো পুলিশ এখনো পর্যন্ত কঠোর কোনও ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি৷পুলিশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একের পর এক ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে৷
প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্যে পুলিশ তার নিজের প্রধান কার্যালয় সুরক্ষিত রাখতে পারেনা, সেখানে সাধারণ মানুষের ধন প্রান কিভাবে রক্ষা করবে? বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর জয়নগর এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ধর এবং পুলিশ কর্মী মনিলাল দাসের বাড়িতে চুরি হয়৷ মনিলাল বাবু রাতে থানায় ডিউটিতে ছিলেন৷ সকালে বাড়ি এসে দেখেন সব সাফ করে নিয়ে গেছে চোরের দল৷ চোরের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে জয়নগর এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ ধর জানান গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে তিনি লক্ষ্য করেন জানালার গ্রিল ভেঙ্গে চুরের দল ভিতরে ঢুকে টাকা পয়সা সোন গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে৷ ঘটনা টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করতেই চোরেরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান৷ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর চেষ্টা করা হয়৷
নারায়ণ ধর জানান, রাতেই তিনি বটতলা পুলিশ ফাঁড়িতে যান৷ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষন ডাকাডাকি করার পরও পুলিশের তরফ থেকে তিনি কোন ধরনের সারা পাননি৷ পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করে সেখান থেকে তিনি চলে যান আগরতলা পশ্চিম থানায়৷ পশ্চিম থানার পুলিশকে ঘটনা জানানোর পর পুলিশ জয়নগরে নারায়ণ দাসের বাড়িতে যায় এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়৷ ঘটনাস্থল থেকে পশ্চিম থানার পুলিশ চোরের ফেলে যাওয়া কিছু জানালার গ্রিল কাটার কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে৷ রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলী এলাকায় চুরির ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে পড়েছেন৷