ব্লাডমাউথ-১০৬/১০ (১৯.২ ওভার)
ইউ: ফ্রেন্ডস-১০৮/৫ (১৮.১ ওভার
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ আগস্ট।। ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস এর জয়জয়কার। টি-২০ ক্লাব ক্রিকেটে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ নিয়ে টানা তিনবার। এককথায় সিনিয়র ক্লাব টি-২০ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়নের হ্যাটট্রিক করে নিয়েছে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস। ২০১৭-১৮ সালে ফাইনাল ম্যাচে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ১ উইকেটের ব্যবধানে কসমোপলিটনকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস চ্যাম্পিয়নের খেতাব পেয়েছিল ফাইনালে স্কুলিঙ্গকে ৫ উইকেটৈর ব্যবধানে হারিয়ে। করোনা আবহে দুই বছর স্থগিত থাকার পর এবার অর্থাৎ ২০২১-২২ ক্রীড়া বছরে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ফাইনালে ব্লাডমাউথকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন খেতাব অর্জন করে নিয়েছে। বলাবাহুল্য, গেলো ৫ বছর এবং ষষ্ঠ বছরের শুরুতে মোট ১২ টি ট্রফি দখল করলো ইউনাটেড ফ্রেন্ডস। এর থেকেই প্রমান ত্রিপুরার ক্রিকেটে কতটা আধিপত্য দেখাচ্ছে ইউনাটেড ফ্রেন্ডস। মরশুমের প্রথম ট্রফি ঘরে তুললো ইউনাটেড ফ্রেন্ডস। ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত সদর সিনিয়র টি-২০ ক্রিকেটে। এম বি বি স্টেডিয়ামে এদিন সকালে হয় ম্যাচটি। তাতে ব্লাডমাউথের গড়া ১০৬ রানের জবাবে ১১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইউনাটেড ফ্রেন্ডস। এদিন বিফলে গেলো উদীয়ান বোস-এর ঝড়ো অর্ধশতরান। মূলতঃ উদীয়ান ছাড়া দলীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ব্লাডমাউথকে। এদিন সকালে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট নিয়ে ব্লাডমাউথ ক্লাব ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে উদীয়ান বোস ৩৩ বল খেলে ৩ টি বাউন্ডারি ও ৫ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০, দীপাঞ্জন মুখার্জি ১৮ বল খেলে ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ এবং তুষার সাহা ১১ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ রান করেন। দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানে পা রাখতে পারেননি। ইউনাটেড ফ্রেন্ডসের পক্ষে দীপক ক্ষৈত্রী সাত রানের বিনিময়ে চারটি এবং অপূর্ব বিশ্বাস ৩৪ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট দখল করে বেশ সাফল্য পেয়েছে। ঋত্বিক শ্রীবাস্তবও (২/১১) সফল বোলার। জবাবে খেলতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে নেয়। দলের পক্ষে ওপেনার বিশাল ঘোষ ৩৯ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪১, প্রীয়াংশু গৌতম ১২ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ (অপ:), রণদীপ পাল ৬ বল খেলে ২ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ (অপ:) এবং দীপক ক্ষৈত্রী ৬ বল খেলে ১ টি বাউন্ডারি ও ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ রান করেন। ব্লাডমাউথের পক্ষে তুহিন ব্যানার্জি (২/১৪) এবং বিনীত মৌর্য (২/১৯) সফল বোলার। সকালে ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা, মেয়র দীপক মজুমদার, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি তপন লোধ সহ কর্তারা। খেলা শেষে মাঠে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।