পাথারকান্দি (অসম), ১৮ আগস্ট (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানাধীন সোনাখিরায় পুলিশের অভিযানে ড্রাগস সহ ধরা পড়েছে এক যুবক। ধৃতকে পার্শ্ববর্তী রাতাবাড়ি থানাধীন আনিপুরের জনৈক মকদ্দস আলির বছর ২২-এর ছেলে ফখরুল ইসলাম বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে এএস ১০ এসি ৫৪৫৯ নম্বরের অল্টো কারে উত্তর ত্রিপুরার সিদ্ধেশ্বর থেকে কদমতলা-চাঁদখিরা বিকল্প জাতীয় সড়ক ধরে নিজের বাড়ি ফিরছিল ফখরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন তার মা ও ভাতিজি। গাড়িটি পাথারকান্দি থানাধীন সোনাখিরা পুলিশ চেক পোস্টে পৌঁছলে নিয়মমাফিক তাতে তালাশি চালায় পুলিশ। তালাশিতে গাড়ির ভিতর থেকে প্লাস্টিকে মোড়া একটি পুটুলি থেকে ৪৫টি ড্রাগসের কৌটা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে পাথারকান্দি থানায় সমঝে দেন সোনাখিরা গেট ইনচার্জ বিভাস সিনহা।
ঘটনা সম্পর্কে পাথারকান্দি থানার ওসি ইনস্পেক্টর সমরজিৎ বসুমতারি বলেন, ধৃত ফখরুল ইসলামকে থানায় আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ফখরুলের কাছ থেকে কম পরিমাণে ড্রাগস বজেয়াপ্ত হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হবে না এবং আদালতেও পেশ করা যাবে না।
এদিকে এলাকার অন্য একটি সূত্রের দাবি, ছেলেটিকে চক্রান্ত করে কে বা কারা ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি আনিপুরের আরেক যুবক ড্রাগস পাচার করতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের হাতে ধরে পড়ে বর্তমানে ধর্মনগর জেল হাজতে রয়েছে।
কম পরিমাণের ড্রাগসের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিকে পুলিশের ছেড়ে দেওয়ার যুক্তিতে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এক মহলের বক্তব্য, ড্রাগস ধরা পড়েছে, তা বলে অপরাধীকে ছেড়ে দিলে এলাকায় জাঁকিয়ে বসা সর্বনাশা ড্রাগসের রমরমা বাণিজ্যে লাগাম টানা সম্ভবপর নয়। বিগত দিনে মাত্র ২০ কৌটা ড্রাগস সহ আটক এক যুবককে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল হাজত পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। কিন্তু এ যাত্রায় ৪৫ কৌটা ড্রাগস ধরার পর পুলিশের ভমিকা নিয়ে অনেকে নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

