নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১৪ আগস্ট৷৷ এখনো সেই রাতের কথা মনে পড়লে অনেকেই আঁতকে ওঠেন৷ বলা যায় এদিন ছিল কল্যানপুরের বুকে কালো দিন৷ রাতের আঁধারে অতর্কিতে গেরিলা কায়দায় হায়ানারদের আক্রমণের শিকার হতে হয় গ্রামের গরিব মানুষদের৷ বাদ গেলোনা দুধ খাওয়া শিশুরাও৷ এ কেমন রাত ভয়ংকর রাত যেদিকে চোখ যায় শুধুই আগুন আর গুলির আওয়াজ৷ শুধুই যেন আত্মচিৎকার৷ চোখের পলকেই গোটা গ্রামে নেমে এলো নিস্তব্ধতা৷ স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের রাতে কল্যাণপুর কমলনগর পঞ্চায়েতের মাইজভান্ডার গ্রামে ঘনিয়ে এসেছিলো এক চিরকালীন অন্ধকার৷ সবে তখন রাত নয়টা৷ সালটা ২০০৩৷ হঠাৎ মাইজভান্ডার গ্রামে তৎকালীন এ টি টি এফ জঙ্গীদের সশস্ত্র আক্রমণ৷ একদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ অন্য দিকে বাড়িঘরে আগুন ও হামলা৷ কিছু বুঝে উঠার আগেই ১৫ টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়৷ এ টি টি এফ এর আক্রমণে নিহত হন পনেরো জন৷ শিশু থেকে বৃদ্ধ কেও বাদ যায়নি৷ প্রতি বছর এই দিনটিকে স্মরণ করা হয়৷ রবিবারও সকালে যে শহীদ বেদী আছে তাতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, মন্ডল সভাপতি জীবন দেবনাথ প্রমুখ৷ বিকেলে একটি স্মরণসভাও হয় স্থানীয় একটি মাঠে৷ সভায় বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্লক চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, মন্ডল সভাপতি জীবন দেবনাথ প্রমুখ৷