নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ আগস্ট৷৷ শুক্রবার আদালতে হাজিরা দিলেন চাকরিচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ আদালত থেকে তাদের প্রত্যেককে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷
চাকুরীচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন৷ ২০২০ সালের কুড়ি মার্চ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন চাকুরীচ্যুত ১০৩২৩ শিক্ষক শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ মামলা দায়ের করে৷ শুক্রবার এই মামলায় চাকুরিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা আদালতে হাজিরা দেন৷ অবশ্য আদালত থেকে তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা৷ আদালত থেকে তাদেরকে আজ জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারী সংগঠনের নেত্রী ডালিয়া দাস বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে চাকরীচ্যুত শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা ক্ষমতায় আসলে তাদের চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে৷ কিন্তু তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি৷ বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছর অতিক্রান্ত হলেও তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি৷ উপরন্ত চাকরীচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা চাকুরী ফিরে পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে মামলায় অভিযুক্ত হচ্ছেন৷ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হচ্ছে৷ এ ধরনের কার্যকলাপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা৷
চাকুরীচুত্য শিক্ষক সংগঠনের নেত্রী ডালিয়া দাস বলেন এখনো পর্যন্ত ১৩৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকা চাকুরী হারিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরিবার অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে৷ অবিলম্বে তাদের চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়েছে৷
এদিকে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবী ভাস্কর দেববর্মা বলেন রাজ্যে যে সরকার রয়েছে সেই সরকার জনকল্যাণে কাজ করছে না৷ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকুরী ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে ক্ষমতায় এসে তারা তাদের প্রতি প্রতারণা করছে বলে তিনি অভিযোগ এনেছেন৷