ত্রিপুরায় অস্ত্র সহ চার এনএলএফটি উগ্রপন্থী ও দুই সহযোগীর আত্মসমর্পণ

আগরতলা, ৫ আগস্ট (হি. স.) : উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বড়সড় সাফল্য এনে দিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত বৈরী সংগঠন এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর চার কট্টর সদস্য অস্ত্র সহ দুই সহযোগীকে সাথে নিয়ে আজ আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা অপহরণ, চাঁদা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করলেও নিরাপত্তা রক্ষীর কঠোর নজরদারির কারণে বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। ত্রিপুরা পুলিশ এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে।

ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, গত ২১ জুলাই এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর চার কট্টর সদস্য উমেশ কলই(৪২), ফণিজয় রিয়াং(৩৯), ভিক্টর জমাতিয়া(৪৭) এবং উত্তম কিশোর জমাতিয়া বাংলাদেশ থেকে ধলাই জেলা গঙ্গানগর সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেছিল। তারা গঙ্গানগর, মুঙ্গিয়াকামী, অম্পি এবং কিল্লা থানা এলাকায় গভীর জঙ্গলে অবস্থান করেছে। তাদের গতিবিধি আঁচ করতে পেরে নিরাপত্তা রক্ষীরা নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছিল। গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে ত্রিপুরা পুলিশ এবং টিএসআর এবং বিএসএফ ও সিআরপিএফ পাহাড়ে তহলদারি বাড়িয়ে দিয়েছিল। ফলে তারা বড়মুড়ার গভীর জঙ্গলেও আত্মগোপন করে থাকতে পারছিল না। অগত্যা, উপায় না দেখে তারা আত্মসমর্পণ করাই উচিত বলে মনে করেছে। আজ তারা আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের দুই সহযোগী সূর্য কিশোর জমাতিয়া(৬০) এবং ব্রজেন্দ্র রিয়াং আজ তাঁদের সাথে আত্মসমর্পণ করেছে।

এদিন এনএলএফটি জঙ্গীরা আত্মসমর্পণের সময় একটি একে-৫৬ রাইফেল সাথে ২ টি ম্যাগাজিন এবং ৬০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি এম-২০ পিস্তল সাথে ১ টি ম্যাগাজিন এবং ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি পয়েন্ট ৩৮ পিস্তল সাথে ১ টি ম্যাগাজিন এবং ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫০ পাতার চাঁদার রশিদ বই একটি এবং ৫০ পাতার নোটিশ প্যাড জমা দিয়েছে।ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এনএলএফটি বিশ্বমোহন গোষ্ঠী প্রচন্ড আর্থিক সমস্যায় পড়েছে। তাছাড়া, নিরাপত্তা রক্ষীদের কঠোর নজরদারিতে তাদের বেঁচে থাকা দায় হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *