ত্রিপুরায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে, সুস্থতাও গতি বাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪৩১, সুস্থ ৪৮৬, মৃত্যু আরও ১

আগরতলা, ২৬ জুলাই (হি. স.) : করোনা নিয়ে সবকিছুই ঝড়ের গতিতে চলছে। একদিকে নমুনা পরীক্ষা, সাথে আক্রান্তের সন্ধান, সুস্থতা এবং মৃত্যু, সবই পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ত্রিপুরায় আবারও বাড়ানো হয়েছে। ফলে ত্রিপুরায় দৈনিক সংক্রমণ আবারও বেড়েছে। অবশ্য, দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। কিন্ত, মৃত্যুর মিছিল থামতেই চাইছে না। তবে, সুস্থতায় বৃদ্ধি অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় নতুন করে ৪৩১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। এদিকে অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১০.১৫ শতাংশ। কিন্ত সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ক্রমাগত সংক্রমণের প্রকোপ ঝড়ের গতিতে বেড়েই চলেছে। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম জেলাকে সংক্রমণে পিছু ধাওয়া করে দক্ষিণ জেলা খুব কাছাকাছি এগিয়ে গেছে। সাথে একজনের মৃত্যু চিন্তায় ফেলেছে। এনিয়ে টানা তিনদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ১০৪ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৪১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ২৪ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ৪০৭ জন মোট ৪৩১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাতে, দৈনিক সংক্রমণের হার বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

ফলে, বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৩১০ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১০৫২৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০১৯৫৫ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৪.১৬ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার হয়েছে ৯৬.৮৬ শতাংশ। এদিকে, ০.৮৮ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। এছাড়া ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

 স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১০০ জন, সিপাহিজলা জেলায় ২৭ জন, খোয়াই জেলায় ২৪ জন, গোমতী জেলায় ৬০ জন, ধলাই জেলায় ৩৮ জন, ঊনকোটি জেলায় ৪২ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৪৬ এবং দক্ষিণ জেলায় ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *