আগরতলা, 20 জুলাই : গুরু পূর্ণিমার পুণ্য লগ্নে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বরিষ্ঠ নাগরিকদের সম্মান জানাতে বুধবার জিরানীয়ায় দুটি গুরুজন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রথম অনুষ্ঠানটি হয় রাণীরবাজারের গীতাঞ্জলি হলঘরে। দ্বিতীয়টি জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষ ভাবে নির্ধারণ করে ‘গুরুপূর্ণিমা’ উদযাপন করার প্রথা চলে আসছে আমাদের দেশে। আমাদের জীবনের নানান কঠিন সময় গুরুজনেরা আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন কর থাকেন। আমাদের জীবন গঠনে গুরুজনেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আমাদের ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে গুরুজনদের বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গুরু’ শব্দটি ‘গু’ এবং ‘রু’ এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত। ‘গু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার’ বা ‘অজ্ঞতা’ এবং ‘রু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার দূরীভূত করা’। ‘গুরু’ হলেন সেইসব ব্যক্তিগণ যাঁরা সকলের জীবনের অন্ধকার দূরীভূত করেন। যাঁরা অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যান এবং আমাদের পরম জ্ঞান দান করেন তাঁরাই গুরুজন।
তাঁর মতে, গুরুজনদের সম্মানিত করা ও ধন্যবাদ জানানোর জন্য গুরুপূর্ণিমার পূণ্যলগ্নই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সময়। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের রাণীরবাজারের গীতাঞ্জলি হলঘরে ও জিরানীয়ার অগ্নিবীণা হলঘরে গুরু পূর্ণিমার পূণ্যলগ্নে রাণীরবাজার ও জিরানীয়া এলাকার স্থানীয় বর্ষীয়ান অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুরনো কার্য্যকর্তা ও মার্গদর্শনকারীদের সম্মান জানানোর আয়োজন করা হয়েছে।
মন্ত্রীর কথায়, তাঁদের নিঃস্বার্থ ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে দলের সংগঠন বিস্তার ও উজ্জীবিতকরণের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের জন্য সময়ে সময়ে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের সম্মানার্থে “গুরুজন সম্মাননা” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় ১০০০ জন বরিষ্ঠ গুরুজনদের হাতে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাস্বরূপ একটি ছাতা ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা তোলে দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করছি, বলেন তিনি।
আজকের এই দুটি অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অজয় জাম্বোয়াল, সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়, কিশোর বর্মণ, মজলিশপুর মন্ডলের মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।