আগরতলা, ২০ জুলাই (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই সুস্থতা অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণে আরও বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও, দেড় শতাধিক করোনার আক্রান্তের সুস্থতার খবর জনমনে চিন্তা কিছুটা কমিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ত্রিপুরায় নতুন করে ৩৬৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তাতে, স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
তবে, করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধিতে আক্রান্তের হারও বেড়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। সাথে একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। এদিকে অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭১ জন সুস্থ হয়েছেন। কিন্ত সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ক্রমাগত সংক্রমণের প্রকোপ ঝড়ের গতিতে বেড়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ৮৬ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩২৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ৩৩ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ৩৩২ জন মোট ৩৬৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। ফলে, দৈনিক সংক্রমণের হার বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.৮৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭১ জন সুস্থ হয়েছেন।
তাতে, বর্তমানে ত্রিপুরায় করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৯০৬ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ১০৩২৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০৩৭৪ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৪.১১ শতাংশ।
তেমনি, সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯৭.২০ শতাংশ। এদিকে, ০.৮৯ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। এছাড়া ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ১৮৬ জন, সিপাহিজলা জেলায় ১৪ জন, খোয়াই জেলায় ১৭ জন, গোমতী জেলায় ৩৯ জন, ধলাই জেলায় ২৩ জন, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২৭, ঊনকোটি জেলায় ১৩ জন এবং দক্ষিণ জেলায় ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।করোনার প্রকোপে মারাত্মক বৃদ্ধিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন চিন্তাভাবনার প্রয়োজন বোধ করাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর এখনই বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্ত, করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই মুহুর্তে আরও কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না ত্রিপুরা সরকার।