আলো (অরুণাচাল প্রদেশ), ১৩ জুলাই (হি.স.) : অরুণাচল প্রদেশের লিকাবালি-বম সংযোগকারী ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়কের নির্মাণকার্য শীঘ্র সম্পূর্ণ করার দাবিতে উত্তাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ছয়টি জেলার হাজারো মানুষ। সাত বছর আগে শুরু হয়েছিল ওই ৯০ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ। সড়কের কাজ শেষ করার দাবিতে রাজ্যের সিয়াং নদী পরিবেষ্টিত জেলাগুলির হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদী সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের তাপ উপেক্ষা করে পশ্চিম সিয়াং জেলার লিকাবালি (লোয়ার সিয়াং) থেকে বম পর্যন্ত দুই লেন মহাসড়কের ৯০ কিমি এলাকার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে পশ্চিম সিয়াং, লোয়ার সিয়াং এবং আপার সুবনশিরি জেলার অসংখ্য বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছেন।
আলো টাউনশিপ পাবলিক ওয়েলফেয়ার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (এটিপিডব্লিউডিএস)-র উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন, ছাত্র ইউনিয়ন, স্থানীয় এনজিও এবং পঞ্চায়েত নেতাদের সমর্থনে আলো শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নেহরু চকে গণ-ধরনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদী সমাবেশে সম্প্রদায়ভিত্তিক সংগঠন, সুশীল সমাজের সংগঠন, ধর্মীয় দল, ছাত্র ইউনিয়ন, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ শেষে লেপাড়াদার জেলাশাসকের কাছে এক স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ লিকাবালি-বম মহাসড়কটি লোয়ার সিয়াং, লেপারাদা, পশ্চিম সিয়াং, সিয়াং, শি-ইয়োমি এবং আপার সুবনশিরি, এই ছয়টি জেলার মানুষের লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত। একই দুই লেনের রাস্তা উন্নয়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছিল ১০ বছর আগে। কিন্তু সড়কের কাজ যত দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার কথা, তা স্থানীয়রা দেখতে পাচ্ছেন না। ওই ছয়টি জেলার মানুষ আপৎকালীন চিকিৎসা, জ্বালানি ও রেশন সামগ্রী ইত্যাদি পরিবহণে, বিশেষ করে বর্ষাকালে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করতে ‘অপ্রত্যাশিত’ বিলম্ব করা হচ্ছে, অভিযোগ করেছেন এটিপিডব্লিউডিএস-এর চেয়ারম্যান প্রাক্তন মন্ত্রী কেন্তো ইতে। তাই তাঁরা সড়কটি সম্পূর্ণ করতে রাজ্য সরকারকে ৩০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। পাশাপাশি প্যাকেজ-১, ২ এবং ৩-এর অধীনে হাইওয়ে প্রকল্পের কাজের গুণমান যাচাই করার জন্য একটি শীর্ষ স্তরের প্রযুক্তি সংস্থাকে অর্পণ করার জন্যও সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারী সংগঠনের উপদেষ্টা দোই আদো।
কেন্তো ইতে জানান, ছয়টি জেলার মানুষজনের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-ধরনা কর্মসূচি তাঁরা পালন করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সরকার যদি তাঁদের দাবি পালনে ব্যর্থ হয়, তা-হলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির দুর্দশাগ্রস্ত জনগণ রাজ্যের রাজধানী ইটানগরে গিয়ে তীব্র গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করতে বাধ্য হবেন।