Railways:শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, জানাল রেল

কলকাতা, ১০ জুলাই (হি.স.) : শিয়ালদহ মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রবিবার একথা জানিয়েছে রেল। রবিবার পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একালব্য চক্রবর্তী এ কথা জানিয়েছেন।
রবিবার পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একালব্য বলেন, ‘‘মেট্রোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ওই এলাকার বিধায়ককেও আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রেলের নিয়মানুযায়ী কোনও রাজ্যে কোনও রেল প্রকল্পের উদ্বোধন হলে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি, স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম মেনেই সবাইকে তাঁদের বাড়িতে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে।’’
উল্লেখ্য, শনিবার জানা যায়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হবে না। এ কথা জানা মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষকে এ ভাবে বোকা বানানো যায় না। বাংলার মানুষ জানেন, এই মেট্রো প্রকল্প মমতাদির পরিকল্পনা। উনিই প্রজেক্ট অনুমোদন করেছিলেন। তখন মমতাদি রেলমন্ত্রী। আর মেট্রোর কাজে প্রতি পদক্ষেপে সহযোগিতা করেছে রাজ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘জমি দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা ছিল। সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেছে। তার পরেও সৌজন্যবোধের এমন অভাব? বাহানা করে উদ্বোধন থেকে রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মমতা যাওয়ার জন্য লালিত নয়। কেন্দ্র যদি এ ভাবে অসহযোগিতা করে, তাহলে সহযোগিতা করা কি রাজ্যের পক্ষে সম্ভব?’’ এরপর রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণের কথা জানান হয় রেলের পক্ষ থেকে ।  
তবে সোমবার বিকেল ৫টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ভার্চুয়ালি এই স্টেশনের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আর সোমবার দুপুরের বিমানে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ রওনা হতে পারেন। তাই আমন্ত্রণ জানালেও, যে তিনি মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন যাবেন না, তা মোটামুটি স্পষ্ট। তবে মেয়র ফিরহাদ বা তৃণমূলের সাংসদ বিধায়করা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কি না, সে দিকে নজর থাকবে বাংলার রাজনীতির কারবারিদের।