লামডিং-বদরপুর পাহাড়লাইনে পরীক্ষামূলক চলেছে লাইট ইঞ্জিন

হাফলং (অসম), ৯ জুলাই (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর পাহাড়লাইনের দাওটুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যে এবং মুপার কাছে বয়লাসেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক লাইট ইঞ্জিন রোলিং করানো হয়েছে। লাইট ইঞ্জিন চলাচল সফল হয়েছে।

আজ শনিবার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত রেলওয়ে ট্র্যাক সংস্কারে নিয়োজিত জনৈক ইঞ্জিনিয়ার এই খবর দিয়ে জানান শুক্ৰবার ওই রুটে পরীক্ষামূলক লাইট ইঞ্জিন রোলিং করানো হয়েছে। এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দু-একদিনের মধ্যে এই রেলপথ দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলানো হবে। তাতে কোনও অসুবিধার সৃষ্টি না হলে আগামী ১৬ জুন থেকে পাহাড়লাইনে পুনরায় যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে ওঠবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে প্রকৃতির রোষে পড়ে লামডিং-বদরপুর ব্রডগেজ রেলপথের ৬০টি স্থানে ধস নেমে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। তবে ৩০ জুন থেকে শিলচর-নিউহাফলং ও গুয়াহাটি-লাংটিংয়ের মধ্যে দুটি বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল আংশিক ভাবে শুরু হলেও পরবর্তীতে শিলচর-নিউহাফলঙের মধ্যে চলাচলকারী বিশেষ যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে ফাইডিং পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়। তবে লাংটিং ও ফাইডিংয়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পাহাড় লাইনে প্রথম দফায় যে ৬০ স্থানে ধস নেমেছিল তার মধ্যে দাওটুহাজা-ফাইডিংয়ের মধ্যে চারটি স্থানে রেলওয়ে ট্র্যাকের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ইতিমধ্যে দাওটুহাজা ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী স্থানে পাহাড় কেটে অ্যালাইনম্যান্ট কিছুটা বদল করে নতুন ভাবে রেল লাইন বসিয়ে শুক্রবার পরীক্ষামূলক লাইট ইঞ্জিন রোলিং করানো হয়েছে। তাছাড়া দ্বিতীয় দফায় ১৫ জুন মুপার কাছে বয়লা রেল সেতুর অ্যাপ্রোচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবার এই রেল সেতুর অ্যাপ্রোচ মেরামতি করে শুক্রবার এই তার ওপর দিয়ে একটি লাইট ইঞ্জিন রোলিং করানো হয়েছে। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার-কর্মীরা ধস-বিধ্বস্ত লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনকে দু-মাসের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে সচল করে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

সম্প্রতি উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনশুল গুপ্তা জানিয়েছিলেন, ১২ জুলাইয়ের মধ্যে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে রেলকর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা দিনরাত এক করে কাজ করে চলছেন। এই অবস্থায় শুক্রবার দাওটুহাজা ফাইডিংয়ের মধ্যে পরীক্ষামূলক লাইট ইঞ্জিন রোলিং করার ফলে আগামী ১৬ জুলাইর মধ্যে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছুই ঘোষণা করেনি।