দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৯ জুলাই (হি. স.) : যখন একদিকে উল্টোরথের উচ্ছ্বাসে ভেসেছে রাজ্য, তখন ক্যানিং হত্যাকাণ্ডে শোকস্তব্ধ এই এলাকা। শনিবার ক্যানিংয়ে যায় তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, মালা রায়, সওকতরা।
মূলত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের পরেই উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এরপরেই এদিন ক্যানিংয়ে যায় তৃণমূলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল। নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন মালা রায়, সওকত মোল্লা, শুভাশিস চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আফতাব উদ্দীন শেখ। শুক্রবার গভীর রাতে কুলতলি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিকূলকে এখনও ধরা যায়নি। দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানালেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, ‘দোষীরা শাস্তি পাবে। আমি চাই দোষীদের ফাঁসী দেওয়া হোক।’
এদিকে এই ঘটনায় পাল্টা তৃণমূলের দিকেই আঙুল উঠেছে। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রফিকূলের মা, ছেলে তৃণমূল করে বলে জানাতেই মূলত উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। তবে এই প্রসঙ্গ নস্যাত করেছেন তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা। সওকত বলেন, ‘তৃণমূল কখনই তৃণমূলকে খুন করতে পারে না।’ তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিদেরকেই দায়ী করেছেন। এদিন কথা প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ হতে দেবেন না বলেও সরব হন তিনি।

