আগরতলা, ৮ জুলাই : সপ্তাহব্যাপী খার্চি পূজার দ্বিতীয় দিনে মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মপ্রাণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু করোনার প্রকোপ নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই । ফলে যেকোনো সময় ভয়ংকর পরিণতি নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পুরনো হাবিলিতে ঐতিহ্যবাহী সপ্তাহ ব্যাপি খার্চি পূজা ও উৎসব। করোনা ভাইরাসও সংক্রমণজনিত কারণে গত দুই বছর খার্চি পূজায় পণ্যার্থীদের তেমন আগমন ঘটেনি। এ বছর করোণা বিধি শিকেয়ও তুলে মেলা ও উৎসবে ব্যাপক জনসমাগম পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রতিদিন যে রিপোর্ট প্রকাশিত করা হচ্ছে তাতে করোনা রাজ্যে হাতছানি দিতে শুরু করেছে। প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই তুলনায় করোনা পরীক্ষার সংখ্যা নেতান্তই কম।
রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য দপ্তর করোনাবিধি পুনরায় কার্যকর করার বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। করোনা বিধি কার্যকর না থাকায় খার্চি মেলা ও উৎসবে ব্যাপক জনসমাগম ঘটতে শুরু করেছে। মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর বক্তব্য অনুযায়ী, এ বছর মেলা ও উৎসবে ব্যাপক জনসমাগম হবে। সেই প্রত্যাশা নিয়েই মেলা ও উৎসবে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় হলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রাজ্য দিনের পর দিন বৃদ্ধি পেতে থাকলেও মেলা কমিটি কিংবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোন ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি। বিষয়টি রীতিমতো আতঙ্কের। রাজ্য সরকার যেখানে এ ব্যাপারে কঠোর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ করোনা বিধির কোন তোয়াক্কাই করছেন না। খার্চি পূজা ও মেলা রাজ্যের জনজাতিদের উৎসব হলেও এ রাজ্যের জাতি উপজাতি বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষজন খার্চি মেলায় ব্যাপক সংখ্যায় শামিল হন।
এই মেলা ও উৎসব জাতি উপজাতির মিলনমেলায় পরিণত হয়।খার্চি মেলার দ্বিতীয় দিনে যে জনসমাগম পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে ইঙ্গিত মিলছে রবিবার ছুটির দিনসহ অন্যান্য দিনগুলিতেও মেলায় দর্শনার্থীদের সমাগম আরো বাড়বে। এসব বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে একদিকে যেমন সরকারিভাবে কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন ঠিক তেমনি জনসাধারণকেও করোনা সম্পর্কে সচেতন থেকে মেলায় শামিল হওয়া প্রয়োজন।

