আগরতলা, ৮ জুলাই : রাজ্যের আত্মসমর্পণকারী বেরীদের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি আগামী ১১ জুলাই প্রস্তাবিত জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাজ্যের আত্মসমর্পণকারী বেরীদের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি তাদের বকেয়া দাবি গুলি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে মহাকরণে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছে। জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রীর আহবানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আত্মসমর্পণকারী বৈরী সংগঠন গুলির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় সরকারের সঙ্গে যেসব চুক্তির বিনিময়ে তারা অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছিল সেসব চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে পুনর্বাসন ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেসব মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা থাকলেও মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। তাতে একদিকে যেমন জীবন জীবিকা নিয়ে জটিল সমস্যার সম্মুখীন অন্যদিকে আইনি সমস্যায় তারা জর্জরিত। এইসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা বারবার যোগাযোগ করেও ইতিবাচক সারা পাচ্ছে না।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের সংগঠনের তরফ থেকে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী ১১ জুলাই জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছিল আত্মসমর্পণকারীদের সংগঠন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী বৈরীদের সংগঠনগুলিকে জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী ডেকে পাঠান। শুক্রবার মহাকরণে উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রীর উপস্থিতিতে তাদেরকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। বৈঠকে উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি গুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রের কাছ থেকে এই ধরনের আশ্বাস পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ জুলাইয়ের প্রস্তাবিত জাতীয় সড়ক অবরোধ আন্দোলন আপাতত তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে আত্মসমর্পণকারী বেরীদের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি। আত্মসমর্পণকারী বেরীদের সংগঠন জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি এবং জয়েন্ট অ্যাকশন রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি শুক্রবার জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানায় আগামী ১৫ জুলাই এর মধ্যে তাদের দাবি মিটিয়ে দেওয়া না হলে তারা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে প্রস্তুত।

