আগরতলা, ২৬ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে নাক কাটা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের। স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উপনির্বাচনে চারটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। দুইটি আসনে হাজারের গন্ডি পার করতে পারেননি তৃণমূল প্রার্থীরা।
তাতে স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গের মডেল ত্রিপুরার মানুষকে গেলাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেতাদের উড়িয়ে এনে ভোটে জেতা সম্ভব নয়, হয়তো এখন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারবেন। তাছাড়া, অভিষেকের উপর সম্পূর্ণ ভরসা করাও উচিত হয়নি, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কারণ, ফলাফল ঘোষণার পর তৃণমূলের প্রার্থী সংবাদ মাধ্যম থেকে মুখ লুকিয়ে পালিয়েছেন।
ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে চারটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৬-আগরতলা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেব ৮৪২টি, ৮-টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য ৯৮৬টি, ৪৬-সুরমা কেন্দ্রে অর্জুন নম: শূদ্র ১৩৪১টি এবং ৫৭-যুবরাজনগর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মৃণাল কান্তি দেবনাথ ১০৮০টি ভোট পেয়েছেন।
উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৫৬ জন। তাঁদের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৬০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাকুল্যে ৪২৪৯টি ভোট পেয়েছে। শতাংশের হারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্তি ২.৮৫ শতাংশ ভোট। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে নোটা-তে। শতাংশের হার ১.০৫। এরপরই স্থান হয়েছে তৃণমূলের।তাতে প্রমাণিত, বিজেপির বিকল্প হিসেবে দাবি করা তৃণমূল কংগ্রেসের উপনির্বাচনে একদম নীচের সারিতে ঠাই হয়েছে। ফলে আপাতত, জাতীয় দল হিসেবে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।