Birjit Sinha :শাসক দল ছাপ্পা ভোট ঠিকভাবে দিতে পারেনি, জয় নিয়ে আশাবাদী কংগ্রেস : বীরজিত সিনহা

আগরতলা, ২৩ জুন (হি. স.) : ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে ভোটের হার অন্যান্য নির্বাচনের তুলনায় কম হয়েছে। তাই, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহার দাবি, শাসক দল ছাপ্পা ভোট ঠিকভাবে দিতে পারেনি। নইলে ভোটের হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেত। তখন পরাজয়ের ভয় থাকত। তাই কংগ্রেস জিতবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তবুও, ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি বুথে পুন: ভোটের জানাবে কংগ্রেস, বলেন তিনি। আজকে উপনির্বাচনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা। তাঁর দাবি, আজ শাসক দলের চোখ রাঙানির বিরুদ্ধে মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ করেছে।

আজ ভোটপর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, নির্বাচন কমিশন সকাল থেকে অতি সক্রিয় ভূমিকা নিলে আজ চিত্রটাই অন্য রকম হতো। অনেকটা দেরিতে কমিশন সক্রিয় হয়েছে, তার সুযোগ শাসক দল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাঁর দাবি, ৬-আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ১২, ১৩ এবং ৫৫ এই তিনটি বুথে পুণরায় ভোটের দাবি জানাবে কংগ্রেস।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা পুলিশের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নিজেদের শক্তি প্রদর্শিত করতে পারেনি। তাঁর দাবি, বিজেপির একমাত্র প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। কংগ্রেসকে আটকাতে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির জন্য দালালী করছে। কারণ, ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় ফেঁসেছেন। তাঁদের বাঁচাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আঁতাত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জোর গলায় বলেন, উপনির্বাচনে সিপিএম নিষ্প্রভ ছিল। লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হয়েছে। তাঁর দাবি, শাসক দল ছাপ্পা ভোট ঠিকভাবে দিতে পারেনি। তাই, ভোটের হার ৯০ শতাংশ অতিক্রম করেনি। তাতে তাঁর আশা, কংগ্রেস উপনির্বাচনে জিতবে। তবে, শাসক দলের কর্মীরা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন, অগণতান্ত্রিক, কটাক্ষ করেন তিনি।এদিন কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা বলেন, আবারও প্রমাণিত হয়েছে শাসক দল ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভোট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যেও প্রাক্তনের ভূমিকা দেখা গেছে। তাঁর দাবি, মানুষের মধ্যে জাগরণ তৈরি করতে পেরেছি। তার প্রতিফলন আজ নির্বাচনে দেখা গেছে। তিনি জোর গলায় বলেন, ভোট পর্ব নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারণ, বিরোধীরা সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে চাপ না দিলে ভোট প্রহসনে পরিণত হতো। হিন্দুস্থান সমাচার\সন্দীপ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *