বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত কৃষক, নিগমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

আগরতলা, ২১ জুন : ধান ক্ষেত থেকে ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন। অভিযোগ, ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের খুঁটি হেলে পড়ে থাকলেও নিগমের তরফে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ জানানো সত্বেও ওই খুঁটি সরানো হয়নি। ফলে, ওই কৃষক আক্রান্ত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ নিগমের উদাসীনতায় ক্ষোভে ফুঁসছেন দক্ষিণ জাম্বুরার বাসিন্দা। বিদ্যুৎ নিগমের খামখেয়ালিপনা, মর্জিমাফিক আচরন, কর্তব্যে অবহেলা, অযথা কালক্ষেপন ও উদাসীনতায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ এখন চরম আকার ধারণ করছে। কোথাও কোন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনে ত্রুটি ধরা পড়লে, বিদ্যুৎ খুঁটি হেলে পড়ে থাকলে, কোথাও তার নীচের দিকে ঝুলে পড়লে তা বিপজ্বনক হলেও বিদ্যুৎ নিগমের গাফিলতিতে সেই ত্রুটি আর সাড়াই করা হয় না বলেই অভিযোগ। দিনের পর দিন অভিযোগ দিলেও নিগমের খোয়াই সাব ডিভিশনের কার্য্যালয়ে গিয়ে দিনের পর দিন অনুনয় বিনয় করে জানালেও বিদ্যুৎ নিগমের সময় আর হয়ে উঠেনা।

অথচ বিদ্যুৎ লাইনের ত্রুটি বা খুঁটি হেলে পড়ার কারণে যে কোন সময় কোন অসতর্ক মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এমনকি প্রাণ চলে যেতে পারে নিরপরাধ কোন মানুষের। তবুও যেন খোয়াই বিদ্যুৎ নিগমের কিছুই আসে যায় না। মানুষের জীবনের যেন কোন দামই নেই বিদ্যুৎ নিগমের কর্মকর্তাদের কাছে। খোয়াই সাব ডিভিশনের দক্ষিণ জাম্বুরায় গত কুড়ি দিন ধরে নির্মাণাধীন জাতীয় সড়কের পাশে একটি বিদ্যুৎ খুঁটি বিপজ্বনক অবস্থায় হেলে পড়ে রয়েছে। খুঁটির তার মাটি থেকে প্রায় দুই হাত ওপরে ঝুলছে। বেশ কয়েকদিন স্থানীয় মানুষজন বিদ্যুৎ নিগমের খোয়াই সাব ডিভিশনের কর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। কলের পর কল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ধানক্ষেতে হেলে পড়া খুঁটি আর দাঁড় করানোর নাম নেই। ৩৩ কে.ভি ভোল্টেজের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবাহী বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে এখানে। যে কোন সময় ঘনিয়ে আসতে পারে। এরপরেও নিগমের ঘুম আর ভাঙেনা।

সোমবার সেখানেই নিজের ধানক্ষেতে গিয়ে ধান কেটে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ী ফিরছিলেন ব্রজেন্দ্র মোদক (৬০) নামে স্থানীয় এক কৃষক।তখনই ধানের বোঝার সাথে হেলে পড়া খুঁটির তারের সংস্পর্শে সাথে সাথেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন ঐ কৃষক।প্রচন্ড শব্দে লাইনে বিস্ফোরণও হয়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর লোকজন গাড়ি নিয়ে ছুটে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত কৃষক ব্রজেন্দ্র মোদককে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। বর্তমানে তাঁর চিকিত্সা চলছে হাসপাতালে।