নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৭ জুন৷৷ পাচার করতে গিয়ে মুঙ্গিয়াকামি থানা পুলিশের হাতে বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণে শুকনো গাঁজা৷ সেইসঙ্গে আটক একটি গ্যাসের বুলেট গাড়ি সহ গাড়ির চালক এবং সহ-চালক৷ ঘটনা আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের ৪১ মাইল এলাকায় শুক্রবার৷ খবরে প্রকাশ গ্যাসের বুলেট গাড়িতে করে বহিঃরাজ্যের পাচারের সময় মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশের হাতে আটক বিপুল পরিমাণে শুকনো গাঁজা৷ আটককৃত গাঁজার পরিমান প্রায় ৫,৩৬৫ কেজি৷
জানা যায়, জিরানীয়ার কোন এক জায়গা থেকে এনএল ০২১-৬৮৪৬ নম্বরের গ্যাসের ওই বুলেট গাড়িতে গাঁজা লোডিং করে বহিঃরাজ্যে পাচারের পথে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের ভেহিকেল চেকিং-এর সময় উক্ত থানা এলাকার ৪১ মাইল এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত হয় গাঁজা৷ সঙ্গে আটক করা হয় গাড়ির চালক হাবিব আনসারি এবং সহ-চালক সুনীল কুমারকে৷ তাদের একজনের বাড়ি বিহার এবং অপরজনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী এবং তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়া সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷
মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ খোয়াই জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত গাঁজা গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি ত্রিশ লক্ষ টাকা৷ তাছাড়া তিনি আরও জানিয়েছেন, খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জানা গেছে, এই নম্বরের কোন গাড়ির গ্যাস বোঝাই করার পারমিট নেই৷ যদিও তদন্ত চলছে৷ তদন্তক্রমে সমস্তকিছু বেরিয়ে আসবে৷ এক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ণ হচ্ছে জিরানিয়া থানা, চম্পকনগর আউট-পোস্ট, তেলিয়ামুড়া হাওয়াইবাড়ি এলাকায় থাকা ট্রাফিক দপ্তরের নাকা পয়েন্ট এবং তেলিয়ামুড়া থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে৷ প্রশ্ণ আরো উঠছে, কিভাবে দুইটি থানা একটি আউটপোস্ট এবং একটি নাকা পয়েন্ট পেরিয়ে অপর একটি থানা পুলিশের হাতে আটক হয় বিপুল পরিমাণে গাঁজা৷