Dharmanagar : একই দিনে দুই যুবক নিখোঁজ ধর্মনগরে, তদন্তে অন্ধকারে হাতরাচ্ছে পুলিশ

আগরতলা, ১১ জুন৷৷  একই দিনে দুই যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ এ ব্যাপারে ধর্মনগর থানার পুলিশ মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রেখেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি৷ নিখোঁজ দুই যুবকের নাম পাপাই সিনহা ও পবিত্র সিনহা৷

টানা আট দিন কেটে গেলেও নিখোঁজ দুই যুবকের সন্ধান পায়নি তাদের পরিবার৷ ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগর থানাধীন ২৫ নং পৌর ওয়ার্ডের মণিপুরী পাড়ায়৷ জানা গেছে, অসমের করিমগঞ্জের যুবক পাপাই সিনহা গত জুলাই মাসে তার পিসি সূর্যমুখী সিনহার ধর্মনগরের মনিপুরী পাড়াস্থিত বাড়িতে আসেন৷ তারপর ধর্মনগরেই তিনি একটি কোম্পানিতে রিকোভারি অফিসে কাজে যোগ দেন৷ মা মধুমিতা সিনহা ও তার বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়াতে মা কর্মসূত্রে গৌহাটি আর বাবা আগরতলা থাকেন৷ তিনি মার কাছ থেকে পিসির বাড়িতে এসেছেন৷ তবে তার স্থায়ী ঠিকানা অসমের করিমগঞ্জ জেলায়৷

প্রতিদিনের ন্যায় গত ৪ জুন শনিবার কাজের উদ্দেশ্যে সকাল দশটা নাগাদ বের হয়ে আর ঘরে আসেনি পাপাই৷ তার পিসির পরিবার ও বাবা মিলে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে ধর্মনগর থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন৷ এদিকে নিখোঁজ যুবকের বাবা ও পিসি জানান, কাজের উদ্দেশ্যে যাবার সময় তার গায়ে সাদা পেন্ট ও কালো ফুট ফুট শার্ট ছিল৷ তবে ওইদিন সন্ধ্যায় কথা হয়েছে তার সাথে৷ তারপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ৷


পাশাপাশি কাকতালীয় ব্যাপার হলো, একই দিনে নিখোঁজ যুবকের বন্ধু পবিত্র সিনহা একই গ্রামের বাসিন্দাও নিখোঁজ হয়ে যায়৷ অপরদিকে পাপাইর পিসি ও পিতা চাইছেন ঘরের ছেলে যাতে ঘরে ফিরে৷ তবে তারা আরো জানান, নিখোঁজের দিন একটি নীল কালারের অল্টো গাড়ি করে পাপাই ও পবিত্রকে যেতে দেখেছে কয়েকজন স্থানীয় মানুষ৷ তারা পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যম ও জনসাধারণের সাহায্য চাইছেন৷ যদি কোন সহৃদয়বান মানুষ পাপাইর সন্ধান পান তাহলে ৭০০৫৫৯৮৯০৯ / ৯৪৩৬১৯৭৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগ করার আবেদন জানান নিখোঁজ যুবকের পরিবার৷পাপাইর বন্ধু পবিত্র কাজের জন্য বাড়ি থেকে চলে গেছে বলে পবিত্রের মায়ের ধারনা৷ তবে পাপাইর প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ আলাদা৷ পরিবারের দাবি, কোনদিনই এমনটা করেননি তিনি৷ নিখোঁজ হবার পর তার মায়ের কাছে খোঁজ করা হলে সেখানেও যাননি তিনি৷ নিখোঁজ হবার দিন পাপাই পবিত্রের সাথে সকালে দেখা করে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় বলে জানা যায়৷ এরপর আর ফিরে আসেনি৷ সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা দুজনই একসাথে আছেন৷ ধর্মনগর থানার পুলিশ মিসিং ডাইরি পেয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আপাতত মেঘালয় অঞ্চলে তাদের মোবাইলে লোকেশন পেয়েছে৷ বর্তমানে ধর্মনগর থানার পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে৷