Tripura : ত্রিপুরা : আক্রান্ত মন্ত্রী রামপদ ও বিজেপি প্রদেশ শসভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া, আবারও কাঠগড়ায় তিপরা মথা

আগরতলা, ৯ জুন (হি. স.) : আবারও প্রতিরোধের মুখোমুখি হন ত্রিপুরার জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া এবং বিজেপি সহসভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া। আজ তাঁরা আক্রান্তও হয়েছেন। অভিযোগ, তিপরা মথার সমর্থকরা তাঁদের গাড়ি ভাংচুর করেছেন। নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। জম্পুইজলায় যোগদান সভায় যাওয়ার পথে ওই ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন একইভাবে তৈদুতে বিক্ষোভ প্রদর্শনে পুলিশের লাঠিচার্জ করতে এবং কাঁদানে গ্যাস চুড়তে হয়েছিল।  

মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া জানিয়েছেন, চম্পকনগর থেকে জম্পুইজলা যাওয়ার পথে তিপরা মথার সমর্থকরা হামলা করেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সহস্রাধিক সমর্থক আজ বিজেপি যোগ দেওয়ার কর্মসূচী ছিল। সেখানে যাওয়ার পথেই আমি এবং বিজেপি প্রদেশ শ সভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া হামলার শিকার হয়েছি, বলেন তিনি।

রামপদ বাবু বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী হওয়ায় পুলিশের কাছে আগাম সূচনা দেওয়া হয়েছিল। তিপরা মথার সমর্থকরা হামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন গতকালই জানতে পেরেছিলাম। সে মোতাবেক, ডিজিপি সহ পুলিশের সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের আগাম সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। তাঁর দাবি, যোগদান সভাস্থলে পৌছানোর আগেই সিপিএম ও প্রদ্যোত কিশোরের সমর্থিত দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের উপর হামলা করেন। তাঁরা আমাদের গাড়ির কাচ ভেঙ্গে ফেলেছেন। আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনক্রমে সুরক্ষিতভাবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।

রামপদ জমাতিয়ার অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের উপর প্রদ্যোতের নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং তিনি জনজাতিদের মধ্যে সমস্যা তৈরি করছেন। তিনি বলেন, আজ পাতাল কন্যা জমাতিয়ার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দুষ্কৃতীদের হামলায় আঘাত পেয়েছেন। আমাদের সাথেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। কারণ, ওই দুষ্কৃতীরা ইটপাটকেল ছুড়ে গাড়ি ভাংচুর করেছে।

তিনি বলেন, পুলিশ এবং টিএসআর জওয়ানরা আমাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী টিএসআর ১১ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ক্যাম্পে নিয়ে গেছেন। কিন্তু, আগাম সূচনা দেওয়া সত্বেও পুলিশ আইন-শৃংখলা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে ঘাটতি ছিল বলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।এদিকে, ওই ঘটনা বিজেপি পরিচালিত ত্রিপুরা সরকারের উপর মানুষের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ বলে দাবি করেছেন তিপরা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তাঁর দাবি, শান্তি বজায় রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারোর উপর হামলা না করার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছি। এক্ষেত্রে বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের জন্য তিপরা মথাকে দায়ী করা উচিত হবে না বলে মনে করি। তিনি বলেন, বেঠিক সময়ে ভুল নেতার সাথে থাকার জন্য মন্ত্রীও মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন। কারণ, বিজেপির মধ্যেও নিয়ন্ত্রণ আছে বলে তিনি মনে করেন না। তাঁর কথায়, ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন হচ্ছে না, রেগায় কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাতে, বিজেপি পরিচালিত সরকারের উপর মানুষের রাগ হওয়া অন্যায়ের কিছু দেখছি না, কটাক্ষ করে বলেন প্রদ্যোত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *