নয়াদিল্লি, ২৭ মে (হি.স.): ড্রোনের ইতিবাচক দিকের কথা তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর মতে, সুরক্ষা বাহিনীকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সহায়তা করার পাশাপাশি কৃষকদেরও সহায়তা করতে পারে একটি ড্রোন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “আমরা নতুন ড্রোন নিয়ম নিয়ে এসেছি এবং ড্রোন স্পেস ম্যাপও প্রকাশ করেছি।”
শুক্রবার দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত ড্রোন মহোৎসব ২০২২-এর সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, “ড্রোন এমন একটি ধারণা, যার সময় ভারতে এসে গিয়েছে। ‘প্রযুক্তি প্রথমে’, কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ হল ‘মানুষ সর্বাগ্রে’, একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। একটি ড্রোন নিরাপত্তা বাহিনীকে নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, ড্রোন কৃষকদেরও সাহায্য করতে পারে। আমরা নতুন ড্রোন নিয়ম নিয়ে এসেছি এবং একটি ড্রোন স্পেস ম্যাপ প্রকাশ করেছি।”
সিন্ধিয়া এদিন আরও বলেছেন, “অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৬ সাল নাগাদ ড্রোন ইন্ডাস্ট্রি ১৫ হাজার কোটি টাকার টার্নওভারে পৌঁছে যাবে। বর্তমানে, ভারতে ২৭০টি ড্রোন স্টার্টআপ রয়েছে।” উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ভারতের বৃহত্তম ড্রোন উৎসব-ভারত ড্রোন মহোৎসব ২০২২-এর সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত ড্রোন মহোৎসব ২০২২-দু’দিনের একটি অনুষ্ঠান, ২৭ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি আধিকারিক, বিদেশী কূটনীতিক, সশস্ত্র বাহিনী, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, পিএসইউ, বেসরকারী কোম্পানি এবং ড্রোন স্টার্টআপ প্রভৃতি-সহ ১৬০০টিরও বেশি প্রতিনিধি মহোৎসবে অংশ নিয়েছেন।

