ঢাকা, ২৭ মে (হি. স.) : ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ। মায়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলে, তাঁদের জোর করে ফেরৎ পাঠানো
(পুশব্যাক) হবে। শুক্রবার সাংবাদিকদের এমনই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী আরও জানান, অপরাধ দমনে রোহিঙ্গা শিবিরে সশস্ত্র পুলিশ বালিনীর টহল জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে মোতায়েন করা হবে বিজিবি ও ‘র্যাব’। এরপরও অপরাধ দমন না হলে শিবিরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার করণীয় বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিবিরে যারা আছে, তারা যাতে বাইরে যেতে না পারে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট নজরদারি থাকবে। বর্তমানে যে পরিমাণ এপিবিএন সদস্য সেখানে কাজ করছে, তা আরও বাড়ানো হবে। প্রয়োজনে বিজিবি, র্যাব এবং সেনা মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে একসঙ্গে সাত-আট লক্ষ রোহিঙ্গা আসার পর থেকে তাদের জনসংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণে তাদের সচেতন করার বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের চিকিৎসার বিষয়ে। রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরে ও বাইরে মাদক নিয়ন্ত্রণে জোরালোভাবে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরে যাওয়া, ভেতরে মাদক কারবার ও অপরাধ কর্মকাণ্ড তদারক করতে শিবিরে ভেতরে ও বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।

